ঢাকা; হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক মামুনুল হকের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রিমান্ড শুনানি চলাকালে বিচারক মামুনুলকে বলেন, ‘আপনার কি কিছু বলার আছে?’ জবাবে মামুনুল বিচারককে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আমি প্রতি রমজান মাসে ৬ বার কোরআন শরীফ খতম দেই। রমজান মাস পবিত্র মাস। এই মাসে আমি যেন রোজা, নামাজ ও কোরআন পড়তে পারি তার সুযোগ করে দেয়ার জন্য আবেদন করছি।’
এর আগে, আজ সোমবার (১৯ এপ্রিল) বেলা ১১টা ৪৩ মিনিটের দিকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে থেকে মামুনুলকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।এদিন ২০২০ সালের মোহাম্মদপুর থানার একটি ভাঙচুর ও নাশকতার মামলায় তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
অপরদিকে মামুনুলের আইনজীবী তার রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
দীর্ঘদিন নজরদারিতে রাখার পর রবিবার ( ১৮ এপ্রিল) দুপুরে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগ। এদিন গ্রেফতারের পর সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) হারুনুর রশিদ জানান, ২০২০ সালের মার্চে মোহাম্মদপুর এলাকায় ভাংচুরের মামলায় মামুনুল হককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি এ মামলার ৭ নম্বর আসামি। এছাড়া, রাজধানীর পল্টন, মতিঝিল, নারায়ণগঞ্জের কয়েকটি থানায় তার বিরুদ্ধে নাশকতা ও ভাঙচুরের অভিযোগে মামলা আছে। সেগুলো তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জানা গেছে, ডিবির মতিঝিল বিভাগে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ৮ টি মামলা তদন্তাধীন আছে। এছাড়া লালবাগ বিভাগে দু’টি, তেজগাঁও বিভাগে একটি এবং মতিঝিল ও পল্টন থানায় পৃথক চারটি মামলায় এজাহারনামীয় আসামি মামুনুল হক।