বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মির্জা আব্বাস। রোববার তার নিজ বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
শনিবারের এক ভার্চুয়াল আলোচনায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের উদ্ধৃতি দিয়ে রোববার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এই অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে মির্জা আব্বাস বলেন, একটি পত্রিকায় ছাপা হয়েছে, ইলিয়াস আলী গুমের জন্য বিএনপির কিছু নেতা দায়ী। এই কথা কী আমি বলেছি? কেউ কী প্রমাণ করতে পারবে? অসম্ভব। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমার কথা বিকৃত করা হয়েছে।
পত্রিকায় এসেছে, সরকার বা আওয়ামী লীগ ইলিয়াসকে গুম করে নাই। এই কথাও আমি বলি নাই। আমার বক্তব্যকে বিকৃত করে লেখা হয়েছে। বিএনপির নেতারাই ইলিয়াস আলীকে গুম করেছে, এই কথাটা কী আমি বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য হয়ে আমার বক্তব্য দেয়া সম্ভব?
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আমি পরিষ্কার করে একটা কথা বলতে চাই, আমার সহজ-সরল পরিষ্কার মনের সরল উক্তিগুলোকে বিকৃত করে আমাদের যে সকল সাংবাদিক ভাইয়েরা যার যেখানে প্রয়োজন, আমার সম্পূর্ণ বক্তব্য যদি বলি তার একটা লাইন কোড করে, যার যেখানে দিয়ে প্রয়োজন কেটে-ছিঁড়ে ইচ্ছামতো লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। কী কারণে করা হয়েছে তা আমি জানি না।
তিনি বলেন, আজকে সকালে ইলিয়াস আলীর বাসায় গেছে একদল সাংবাদিক। তার স্ত্রীকে গিয়ে রীতিমতো চার্জ করেছে, বিভিন্ন প্রশ্ন করে হেনস্তা করার চেষ্টা করা হয়েছে। এটাই বা কেন? কী এমন ঘটনা ঘটলো যে, হঠাৎ করে এই বিষয়টা নিয়ে এতো মাথা ঘামাতে হবে?
তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, গত ৯টি বছর ইলিয়াস গুম হওয়ার পরে কোনো পত্র-পত্রিকায় একটি দিবস পালন করে নাই। ওই ইলিয়াস আলীর জন্য আজকে কেন সাংবাদিকদের মাথা খারাপ হয়ে গেলো? আমি কোনো সাংবাদিককে দোষারোপ করছি না।
এ সময় তিনি বলেন, দয়া করে সত্য বক্তব্যটা যদি তুলে ধরতেন তাহলে ভালো হতো। আমি এমন কোনো কথা বলি নাই যার জন্য জাতির কাছে, দেশের কাছে, বিএনপির কাছে কিংবা আমার নেতা-কর্মীর কাছে আমাকে বিব্রত হতে হবে। আমার বক্তব্য গতকাল যারা শুনেছেন তারা হয়ত বুঝে উঠতে পারেন নাই। আমি দুঃখিত যে, আমি বুঝাতে পারি নাই।
তিনি বলেন, আপনারা কী বের করতে পেরেছেন সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড কারা করলো? পারেন নাই। কারা করেছে বলতে পারবেন আপনারা।
শাহজাহানপুরে নিজের বাসায় এই সংবাদ সম্মেলনে আসাদুজ্জামান রিপন, খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, কামরুজ্জামান রতন, আবদুস সালাম আজাদ ও কাইয়ুম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।