খাগড়াছড়ি:খাগড়াছড়ির দীঘিনালার জামতলী এলাকায় গতকাল সাংসদ কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার মায়ের বার্ষিক শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া অতিথিরা – সংগৃহীত
লকডাউনকে তোয়াক্কা না করে মায়ের শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে গণভোজের আয়োজন করেছেন খাগড়াছড়ির সাংসদ কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। গতকাল দীঘিনালার জামতলী এলাকায় এ অনুষ্ঠানে অসংখ্য মানুষের সমাগম ঘটে। করোনার উচ্চ সংক্রমণের মধ্যে এমন আয়োজনের ফলে সমালোচনার মুখে পড়েছেন এ সাংসদ।
জানা যায়, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার মা উমাদিনী ত্রিপুরা গত বছরের ২৯ মার্চ বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান। মায়ের বার্ষিক শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান উপলক্ষে তিনি গ্রামের বাড়িতে শুক্রবার রাত থেকে বিভিন্ন ধর্মীয় আয়োজন রাখেন। গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে শুরু হয় গণভোজ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গণভোজের প্রতি ব্যাচে পাঁচ শতাধিক মানুষ খাবার খায়। অতিথির সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বেলা ২টার পর তৈরি হয় খাবার-সংকট। অনুষ্ঠানে কোনো ধরনের স্বাস্থ্যবিধি বা সামাজিক দূরত্ব অনুসরণ করতে দেখা যায়নি। প্রতিটি টেবিলে ১২ জন মানুষ একসঙ্গে বসে খাবার গ্রহণ করেন। শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরীসহ অনেক সরকারি কর্মকর্তার উপস্থিতিও দেখা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা সিভিল সার্জন নূপুর কান্তি দাশ বলেন, একজন সংসদ সদস্য হিসেবে তিনি অবশ্যই নিয়ম ভঙ্গ করেছেন। তার বিষয়টি প্রশাসন দেখবে। এ ব্যাপারে খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক প্রতাপচন্দ্র বিশ্বাসকে কয়েকবার ফোন করলেও তিনি ধরেননি। তবে দীঘিনালা থানার কর্মকর্তা উত্তমচন্দ্র দেব বলেন, শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান হয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না।
অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী বলেন, এখনকার পরিস্থিতিতে সেখানে আমার উপস্থিত হওয়া উচিত হয়নি। তবে ধর্মীয় ব্যাপার বলে সেখানে গিয়েছি। তবে এ আয়োজন নিয়ে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার বক্তব্য জানা যায়নি। একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ধরেননি।