নোয়াখালী: নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা সপরিবারে বিষপানে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় ফেসবুক লাইভে এসে এ হুমকি দেন তিনি। এ সময় ৫০ মিনিট বক্তব্য দেন মেয়র কাদের মির্জা।
আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ‘কোম্পানীগঞ্জে যে ঘটনা ঘটেছে আমি শেষবারের মতো বলছি, ঢাকা থেকে বিচার বিভাগীয় তদন্ত দেন। নোয়াখালী থেকে হলে একরাম-নিজামের কাছে বিক্রি হবে। ঢাকা থেকে ডিজিএফআই-এনএসআই এর চৌকস কর্মকর্তা আছেন, তাদের দিয়ে তদন্ত দেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘সেই তদন্তে যদি আমার ভাই শাহাদাৎ, ছেলে তাশিক ও আমিসহ অনুসারীরা অন্যায়কারী প্রমাণিত হয় তাহলে আমরা কাঠগড়ায় দাঁড়াতে বাধ্য। কারণ আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু এই অত্যাচার আর সইবো না, হয়তোবা পুরো পরিবারকে বিষ খেয়ে জীবন দিতে হবে। এটা ছাড়া বিকল্প পথ নাই।’
বসুরহাট পৌর মেয়র বলেন, ‘আগে বলেছি আল্লাহর দিকে তাকানো ছাড়া উপায় নাই, এখন বলছি বিষ খেয়ে জীবন দেওয়া ছাড়া উপায় নাই। বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের সামনে বিষ খেয়ে বুকের ওপর লিখে রাখব “সে কথা”; তা এখন বলব না।’
কাদের মির্জা বলেন, ‘আমি রমজান মাসে লাইভ থেকে বিরত থাকার অঙ্গীকার করেছিলাম কিন্তু বারবার আমার ওপর হামলা হলেও আমি কোনো প্রতিকার পাইনি। আমার পরিবারের ওপর অত্যাচারের কোনো প্রতিকার পাইনি।’
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আবদুল কাদের মির্জার ফেসবুক আইডি থেকে ‘শুক্রবার জুমার নামাজের সময় বায়তুল মোকাররম মসজিদ বোমা মেরে উড়িয়ে দিলে দেশে দুর্নীতিবাজের সংখ্যা কমে যাবে’ একটি পোস্ট দেওয়া হয়। এর জেরে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের ২০-২৫ জন সমর্থক কাদের মির্জার বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে একটি মিছিল বের করেন।
মিছিলটি বসুরহাট পৌরসভায় ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশের বাধায় তারা চলে যায়। এরপর বিকেল সোয়া ৪টায় মেয়র মির্জার অনুসারীরা থানার সামনে গেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটির অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষে ১০ জন আহত হন।