মিয়ানমারে চলমান সামরিক জান্তাবিরোধী আন্দোলনে শরিক রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠন করেছেন। দেশটির সদ্য ক্ষমতাচ্যুত পার্লামেন্ট সদস্য, অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভের নেতা ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের উক্ত সরকারে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। মিয়ানমারের ‘ভারপ্রাপ্ত ভাইস প্রেসিডেন্ট’ মান উইন খাইং থানকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়- জাতীয় ঐক্যের সরকারের ঘোষণা দিয়ে দেশটির কিংবদন্তি গণতান্ত্রিক কর্মী মিন কো নাইং ১০ মিনিটের এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, ‘আপনারা দয়া করে জনগণের সরকারকে স্বাগত জানান। জনগণের আকঙ্খা ছিল জাতীয় ঐক্যের সরকারের। প্রাথমিকভাবে এই সরকারের কয়েকটি পদ নির্ধারিত হয়েছে। আমরা সামরিক শাসনের মূলোৎপাটনের চেষ্টা করছি, তাই আমাদের বহু আত্মত্যাগ করতে হবে।’
তিনি জানান, এই ঐক্যের সরকারের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হবে আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়। তবে এ নিয়ে জান্তা সরকারের কাছ থেকে এখনো কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি।
এদিকে আল জাজিরা জানায়- ক্ষমতাচ্যুত সংসদ কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত জাতিসংঘে মিয়ানমারের আইনপ্রণেতাদের দূত ড. সাশা বলেছেন, মিয়ানমারের ইতিহাসে এই প্রথম জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠিত হলো।
এতে বলা হয়- মিয়ানমারের ভারপ্রাপ্ত ভাইস প্রেসিডেন্ট মান উইন খাইং থানকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর হাতে উৎখাত হওয়া আইনপ্রণেতারা বেসামরিক সরকার গঠনের ঘোষণা দেন। জান্তার ধরপাকড় এড়াতে আত্মগোপনে থাকা অং সান সু চির দল ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতারা ওই সরকার গঠনের ঘোষণা দেন। এনএলডির জ্যেষ্ঠ নেতা মান উইন খাইং থানকে তখন ভারপ্রাপ্ত ভাইস প্রেসিডেন্ট নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।