বগুড়ায় পানবোঝাই একটি ট্রাকে হরতাল ও অবরোধকারীদের ছোড়া পেট্রোল বোমা হামলায় ইমরান ওরফে শহিদুল (৩৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
এ সময় পলাশ (৩০), মামুন (৪০) নামে দুইজন গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন। তাদের সবার বাড়িই ঝিনাইদহের শৈলকূপায়।
বৃহস্পতিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ভোর পাঁচটায় বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের বেলাইল নামক স্থানে এ নাশকতার ঘটনা ঘটে।
বগুড়া সহকারী পুলিশ সুপার ও জেলা মিডিয়া সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গাজিউর রহমান এবং বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গুরুতর দগ্ধ দুইজনকে প্রথমে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নেওয়া হয়। সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, পানবোঝাই একটি ট্রাক (ঝিনাইদহ ট ১১-০৮০৭) ঝিনাইদহ থেকে দিনাজপুরে যাচ্ছিলো। পথে ভোর পাঁচটার দিকে ট্রাকটি বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের বেলাইল নামক স্থানে পৌঁছালে অবরোধ ও হরতাল সমর্থকরা সেটিতে পেট্রোল বোমা মারেন। এতে ট্রাকটিতে আগুন ধরে গেলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তায় থামিয়ে রাখা পাশ্বর্বর্তী দুটি বাসকে (ঢাকা মেট্রো ব ১১-৬৫৮৭, ঢাকা ব ১৪-৬৯৮৯) ধাক্কা দিয়ে খাদে পড়ে যায়। এ সময় ওই বাস দুটিতেও আগুন ধরে যায়।
তিনি জানান, পেট্রোল বোমার আগুনে ট্রাকে থাকা তিনজনই গুরুতর দগ্ধ হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইমরান ওরফে শহিদুলকে মৃত ঘোষণা করেন এবং গুরুতর দগ্ধ অপর দুইজনকে ঢাকায় পাঠান।
দগ্ধ তিনজন ট্রাকটির চালক, হেলপার ও এক পান ব্যবসায়ী বলে জানান তিনি।