ঢাকা সফরে ব্যস্ত সময় পার করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্টের জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূত সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী জন কেরি। সকাল সাড়ে ১১ টার পর থেকে সিরিজ বৈঠক করে চলেছেন তিনি। বাংলাদেশ সফরে তার প্রথম বৈঠকটি হয়েছে ঢাকাস্থ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে। মার্কিন রাষ্ট্রদূতের অফিসিয়্যাল বাসভবনে অনুষ্ঠিত ক্লাইমেট ফাইনান্স বিষয়ক গোলটেবিল বৈঠকে মিলিত হন তারা। ওই বৈঠকের একটি ছবি টুইট করেছে মার্কিন দূতাবাস। টুইট বার্তায় বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রশমন ও অভিযোজনে বিশ্ব কিভাবে বাংলাদেশের সাথে কাজ করতে পারে সে বিষয়ে জলবায়ু বিষয়ক দূত কেরি ও ঢাকাস্থ কূটনৈতিক অংশীদারদের মধ্যে অসাধারণ আলোচনা হয়েছে। জলবায়ু বিষয়ক পদক্ষেপ হিসেবে নাজুক দেশগুলোর অভিযোজন ও সহিষ্ণুতা বাড়াতে অর্থায়ন জরুরী। ওই গোলটেবিল আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকাস্থ ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রেন্সজে তেরিঙ্ক।
তিনিও অল্প আগে জন কেরির সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ঢাকাস্থ প্রতিনিধিদের আলোচনা বিষয়ক একটি সচিত্র টুইট করেছে।
টুইট বার্তায় ইইউ দূত লিখেন- ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের আয়োজনে সিনেটর কেরির সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি। বড় বিষয় হচ্ছে বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র পুরোপুরিভাবে ফিরে এসেছে। দুপুরের ওই বৈঠকে ইইউ দূত ছাড়াও বৃটিশ হাইকমিশনার, জাপান রাষ্ট্রদূত, জার্মান রাষ্ট্রদূত, অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার, আইএমএফ প্রতিনিধি, ইউএনডিপি আবাসিক প্রতিনিধি, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক প্রতিনিধি এবং এডিবি প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জলবায়ুবিষয়ক বিশেষ দূত জন কেরি কয়েক ঘণ্টার সফরে বর্তমানে ঢাকায় রয়েছেন। মূলত, মার্কিন প্রেসিডেন্টের পক্ষে জলবায়ুবিষয়ক ভার্চ্যুয়াল শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানাতে দিল্লি হয়ে ঢাকায় আসেন তিনি। মধ্যাহ্নে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে তার বৈঠক হয়েছে। সেখানে সরকারের জলবার্য, বণ ও পরিবেশ মন্ত্রী শাহাবুদ্দিনসহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধিদের নিয়ে তিনি ভোজ-বৈঠক করেন। বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে দেখা করে প্রধানমন্ত্রীর হাতে জো বাইডেনের দেওয়া লিডার্স সামিট অন ক্লাইমেটের নিমন্ত্রণপত্র তুলে দেয়ার কথা।