হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, ইসলামে চারটি বিয়ের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। দেশের আইনেও একাধিক বিয়েতে বাধা নেই। কাজেই আমি দ্বিতীয় বিয়ে করেছি এতে কার কী? যদি আমি স্ত্রীদের কোনো অধিকার থেকে বঞ্চিত করে থাকি, তবে আমার বিরুদ্ধে আমার পরিবার অভিযোগ দিতে পারে। কিন্তু আজ পর্যন্ত কেউ কি দেখাতে পারবে যে আমার পরিবার কোনো বিষয়ে আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ দিয়েছে? তিনি বলেন, আমার স্ত্রীর সঙ্গে আমি কি কথা বলবো না বলবো সেটা আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু আমার ব্যক্তিগত ফোনালাপ ফাঁস করে আমার ব্যক্তিগত অধিকার ক্ষুন্ন করা হয়েছে। এটি যেমন দেশের আইনেও অপরাধ তেমনি ইসলামী বিধানেও চরম গুনাহের কাজ। সুতরাং আমার ব্যক্তিগত ফোনালাপ যারা ফাঁস করেছে তাদের বিরুদ্ধে আমি আইনি ব্যবস্থা নেব। আজ এক ফেসবুক লাইভে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যেভাবে একেরপর এক মানুষের ব্যক্তিগত ফোনালাপ ফাঁস করা হচ্ছে, এটি দেশের জন্য ভালোকিছু বয়ে আনবে না। মাওলানা রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে তার নামেও অপবাদ দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এইযে এতোগুলো ফোনালাপ ফাঁস করা হল তাতে কি প্রমান মিলেছে যে সে আমার বিবাহিতা স্ত্রী নয়? অথচ শুধু শুধু আমার একান্ত ব্যক্তিগত কথাগুলো কোন উদ্দেশ্যে ফাঁস করা হল?
আমি সেদিন নারায়নগঞ্জের রয়াল রিসোর্টে যে ঘটনা ঘটেছে সেটি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে যে আমি কেন এই পরিস্তিতিতে রিসোর্টে গেলাম। হ্যা আমি স্বীকার করছি যে এমন অসাবধানতাবশত সেখানে আমার যাওয়া সমীচিন হয়নি। তবে আমি জানতাম না যে দেশের মানুষের ব্যক্তিগত নিরপাত্তা চরমভাবে ভেঙ্গে পড়েছে। সন্ত্রাসীরা আমার চরিত্র হরনের উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।