ঢাকা: ‘শিশুবক্তা’ রফিকুলর ইসলামকে আটক করার পর তার ফোনে ‘আপত্তিকর’ ভিডিও পেয়েছেন র্যাব। গোপন ভিডিও নিয়েও মিলেছে নানা তথ্য। মঙ্গলবার রাতে তার নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করে র্যাব। পরে তকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে র্যাব। এ সময় তার মোবাইল ফোনও তল্লাশি করা হয়। তল্লাশিতে তার ফোনে আপত্তিকর ভিডিও এবং গোপন বিয়ের তথ্য পাওয়া যায়। আটকের পর বিকেলে তার বিরুদ্ধে গাজীপুরের গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আনে মামলা হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছে র্যাব।
আজ বুধবার রাষ্ট্রবিরোধী উস্কানিমূলক বক্তব্য ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে র্যাব ‘শিশুবক্তা’ মাওলানা রফিকুল ইসলামকে নেত্রকোনা থেকে আটক করে বলে সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সংস্থাটির লিগ্যাল ও মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক ইমরান খান। এদিকে আটকের পর বিকেলে তার বিরুদ্ধে গাজীপুরের গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন তিনি।
র্যাবের একটি সূত্র জানিয়েছে, রফিকুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে তার ফোনে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু আপত্তিকর ভিডিও পাওয়া গেছে। এ ছাড়াও তার ফোনে তল্লাসি করে আসমা বেগম নামের এক নারীকে বিয়ে করেছেন বলে জানা গেছে। তবে বিয়েটি গোপন রেখেছেন তিনি।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার লেটিরকান্দা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে আটক করেছে র্যাব-১৪। এ সময় তার বড়ভাই এবং এক ভাতিজাকেও আটক করা হয়। তবে বড়ভাইকে ছেড়ে দিলেও রফিকুলসহ তার ভাতিজাকে আটকে রাখে র্যাব। তাকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুন্সী। তিনি জানান, বর্তমানে তিনি র্যাব হেফাজতে রয়েছেন।
এদিকে মাদানীকে র্যাব পরিচয়ে তুলে নেওয়ার প্রতিবাদে আজ বুধবার বিকেলে নেত্রকোনা প্রেস ক্লাব ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন হেফাজতে ইসলামের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। এ সময় তারা মাদানীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করে বলেন, তাকে মুক্তি না দেওয়া হলে হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
এর আগে গত ২৫ মার্চ রাজধানীর মতিঝিল শাপলা চত্বরে ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের মোদিবিরোধী মিছিল থেকে রফিকুল ইসলামকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হলেও পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।