হেজাফত ইসলামের নেতা মাওলানা মামুনুল হকের দ্বিতীয় স্ত্রী আমিনা তাইয়েবা জানিয়েছেন, সোনারগাঁওয়ের প্রাকৃতিক পরিবেশ দেখতে দেখতে আমরা এদিকে এসেছি। জোহরের পর একটু রেস্ট নেয়ার জন্য এখানে [রয়েল রিসোর্টে] এসেছিলাম। লাঞ্চ করে একটু রেস্ট নিচ্ছিলাম।
শনিবার অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে উদ্ধার হওয়ার পর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে তিনি এসব কথা বলেন।
নিজেদের মধ্যে একান্তে সময় কাটাতে সোনারগাঁয়ের ওই রিসোর্টে গিয়েছিলেন বলে জানান মামুনুল হকের দ্বিতীয় স্ত্রী আমিনা তৈয়বা। তিনি পুলিশকে বলেন,তার বাড়ি ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা। বাবার নাম ওয়ালিউর রহমান।
শনিবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে মামুনুল হকের সঙ্গে অবরুদ্ধ হন তিনি। রিসোর্টটিতে ধারণ করা একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
এসময় তাকে প্রশ্ন করা হয়, আপনি তো আপনার হাজব্যান্ডের সঙ্গেই আসছেন? তিনি
তখন তিনি বলেন, আমার হাজব্যান্ড ঠিক আছে, কিন্তু আমার হাজব্যান্ড তো আর আট-দশটা হাজব্যান্ডের মতো না। আমি সবার সামনে যেতে পারি না । আমরা ইচ্ছা করলে সবসময় সব জায়গা যাওয়ার সুযোগও হয় না।
এখানে কেন এসেছেন- এমন প্রশ্নের পাল্টা উত্তর দেন আমিনা। তিনি বলেন, হাজব্যান্ডের সাথে সবজায়গায় যাওয়া যায় এটা কোনো অন্যায় নয়।মানুষ তো বিদেশেও ঘুরতে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোনারগাঁওয়ের রয়েল রিসোর্টের ৫০১ নম্বর কক্ষে স্ত্রীসহ মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করে স্থানীয় যুবলীগ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।
এদিকে হেফাজতকর্মীরা খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও মহাসড়ক অবরোধ করে। পরে তার মামুনুল হককে তাদের হেফাজতে নিয়ে আসে।
এদিকে রিসোর্টের খাতায় গেস্টের নামের স্থানে লেখা রয়েছে মো. মামুনুল হক ও আমিনা তৈয়বা। রুম নং ৫০১। এ সময় রিসোর্টে প্যাকেজ নেন উন্টার। রুম ভাড়া ৫ হাজার এবং খাবার খরচ ৩ হাজার টাকা। এছাড়াও মামুনুল হকের এনআইডি কার্ডের কপিও পাওয়া যায়। রিসোর্টে প্রবেশের সময় লেখা হয় দুপুর ৩টা।
ঘটনাস্থলে যাওয়া নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার টি এম মোশাররফ হোসেন জানান, জানমালের ক্ষতি কমাতে মামুনুলহককে দ্রুত উদ্ধার করে নিরাপদে তুলে দেয়া হয় হেফাজতকর্মীদের হাতে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে এটা করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম বলেন, মাওলানা মামুনুল হক নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানাধীন রয়েল রিসোর্টের একটি কক্ষে অবস্থান করেছেন- এমন খবরে স্থানীয় লোকজন সেখানে আসে। এর পরেই খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়।
মাওলানা মামুনুল হক পুলিশকে জানিয়েছেন, সাথে থাকা নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী। পরে পুলিশ তাকে নিরাপত্তা দিয়ে সেখান থেকে উদ্ধার করেছে।