হাটহাজারী (চট্টগ্রাম): পুলিশ হেফাজতের সঙ্গে সংঘর্ষে চারজন নিহতের ঘটনায় বিক্ষুব্ধ মাদ্রাসা ছাত্ররা চট্টগ্রাম হাটহাজারী-খাগড়াছড়ি মহাসড়ক অবরোধ রেখেছে। আজ সকাল থেকে হেফাজত নেতাকর্মীরা সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে দুটি ৫ ফুট উচ্চতায় দেয়াল করে রাস্তায় অবস্থান করছেন। জোহরের নামাজের সময় হেফাজতের আমীর আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী মসজিদের মাইকে ছাত্রদের আহবান করেন, এটা আমাদের ঈমানী আন্দোলন। শহীদের আত্মার শান্তি মাগফেরাতের আন্দোলন। আমরা এ আন্দোলনে পিছু হটবো না। তোমরা যারা ছাত্ররা রাস্তায় অবস্থান করছো নামাজ পড়তে মসজিদে চলে এসো। নামাজ ফরজ। আন্দোলন ঈমানী দায়িত্ব।
গত রাতে হাটহাজারী সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেয় তারা। আবার পুনরায় আজ সকাল থেকে বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে অবরোধ করে রাখে। হাটহাজারী বাস স্টেশন হতে হাটহাজারী মডেল থানা সড়ক, বাজার, মাদ্রাসা সড়ক, নাজিরহাট-খাগড়াছড়ি মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
গতকাল জুমা নামাজের পর পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে চারজন নিহত হওয়ার ঘটনায় বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা সড়ক অবরোধ করে রাখে এবং তাদের দাবি-দাওয়া মেনে না নেয়ার আগ পর্যন্ত তাদের এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানান হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা নাসির উদ্দিন মনির।
এদিকে আজ আসরের নামাজের পূর্বে হেফাজত ইসলামের নেতৃত্বে হাটহাজারীতে শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় ও গতকাল চারজন ছাত্রদের ওপর পুলিশ গুলি চালানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল হবে বলে জানিয়েছেন হেফাজত ইসলামের আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার রশিদুল হক এর নেতৃত্বে হাটহাজারী বাজার, বাস স্টেশন, মাদ্রাসা সড়কে ব্যাপক পুলিশ, এবিপিএন, র্যাব, দুই প্লাটুন বিজিবি সহ অসংখ্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। হাটহাজারী বাস স্টেশন এলাকায় উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অবস্থান করছেন।