স্বাধীনতার ৫০ বছর। গোল্ডেন জুবিলি। উৎসব করলাম। এখনো চলছে, জমকালো আয়োজন। দেশে ও বিদেশে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন হল। ফুলে ফুলে ভরে গিয়ে ৫০ বছরের বাংলাদেশ বর্ণিল সাজে সজ্জ্বিত হয়েছিল। কিন্তু মহাউৎসবে ফুল ও রক্তের সংঘর্ষ হয়ে গেলো। ফুল দিয়ে জন্মদিন পালিত হয়, রক্ত দিয়ে নয়। কিন্তু আজ আমরা প্রমান করলাম ফুলের পাাশাপাশি রক্ত দিয়েও জন্মদিন পালন করা যায়। রক্তে ভেজা ফুলের সৌরভে সুবর্ণ জয়ন্তী পালিত হল। রাজধানী ঢাকায় অঘোষিত কারফিউ দিয়ে আমরা সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করলাম। এই দিনে রাজপথে নিহত হলেন ৫জন। রক্তাক্ত হলেন অনেক সাংবাদিক। জন্মদিনে ফুলের পরিবর্তে রক্তভেজা ফুল লাগবে এটা জাতির জানা ছিল না।
সুবর্ণ জয়ন্তীতে অনকাংখিত মৃত্যুর জানাজা পড়লাম আমরা তাও রাজপথে। এই দিনে রাস্তায় আগুন, সরকারী সম্পত্তিতে আগুন দিলাম আমরা। জুমার নামাজের পর সংঘর্ষে জড়িয়ে গেলাম আমরা।
কথা ছিল, সবাইকে নিয়ে সুবর্ণ জয়ন্তীটা পালন করব। কিন্ত হল না। রক্তেভেজা ফুল, ভাঙা ক্যামেরা আর সাংবাদিকের রক্তাক্ত দেহ, সুবর্ণ জয়ন্তীকে কষ্ট দিয়ে দিল। আমরা নতুন শিক্ষা নিলাম, বয়স ৫০ হলে রক্তভেজা ফুল দিয়ে জন্মদিন পালন করতে হয়। আমরা ৯ মাসে যেমন একটি দেশের জন্মদিতে পারি, তেমনি ৫০ বছর হয়ে গেলে রক্তভেজা ফুল দিয়ে সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করতে পারি। এটা আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিই শুধু নয়, নতুন ইতিহাস হয়ে রইল। শুভজন্মদিন, আমার মাতৃভূমি। তুমি দীর্ঘজীবি হও।
রিপন আনসারী
প্রধান সম্পাদক

