পর্যটন, স্যানিটেশন, সাংস্কৃতিক বিনিময় ও রেলওয়ে সংযোগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ঢাকা-কাঠমান্ডু ৪ সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ এবং নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারীর উপস্থিতিতে এক অনুষ্ঠানে চুক্তিগুলো সই হয়। এর আগে সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হয়। বাংলাদেশের পক্ষে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন এবং নেপালের সংস্কৃতি, পর্যটন ও বেসামরিক বিমান চলাচল সচিব যাদব প্রসাদ কৈরালা পর্যটন সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন। বাংলাদেশের কৃষি মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মেসবাউল ইসলাম এবং নেপালের শিল্প, বাণিজ্য ও সরবরাহ মন্ত্রণালয়ের সচিব দীনেশ ভট্টাচার্য স্যানিটারি ও ফাইটোস্যানিটারি (এসপিএস) সহযোগিতা জোরদার করতে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন। বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিষয়ক সচিব বদরুল আরেফিন ও নেপালের সংস্কৃতি, পর্যটন ও বেসামরিক বিমান পরিবহন সচিব যাদব প্রসাদ কৈরালা ২০২২-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে সংস্কৃতি বিনিময় কর্মসূচি বিষয়ক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন৷ বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. জাফর উদ্দিন এবং নেপাল সরকারের শিল্প, বাণিজ্য ও সরবরাহ মন্ত্রণালয়ের সচিব দীনেশ ভট্টাচার্য তাদের নিজ নিজ দেশের পক্ষে রোহানপুর-সিংগবাদ রেলওয়ে রুট সংস্কার বিষয়ক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন ৷ বাংলাদেশ পক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী এবং নেপালের প্রেসিডেন্টের কন্যা ঊষা কিরণ ভান্ডারি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদীপ কুমার গায়াওয়ালি প্রমুখ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এর আগে বঙ্গভবনে নেপালের প্রেসিডেন্ট পৌঁছলে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ ও তার সহধর্মীনি রাশিদা খানম প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারিকে অভ্যর্থনা জানান। সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং রাষ্ট্রীয় ভোজসভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট নেপালের প্রেসিডেন্টের সম্মানে রাষ্ট্রীয় ডাইনিং হলে এই ভোজসভার আয়োজন করেন। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী দুটি ঐতিহাসিক উৎসব উদযাপনে যোগ দিতে দুই দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদ স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রেসিডেন্টের সহধর্মীনি রাশিদা খানম, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, বেসামরিক ও সামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ এবং আরও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ভোজসভায় উপস্থিত ছিলেন।