রাজপথের আন্দোলনের জন্য সবাইকে প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল অব. সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম। শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের অডিটোরিয়ামে ১৯ মার্চ ‘প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, আজকে আমার বক্তব্য আগামী দিনের রাজনীতি নিয়ে। ১৯৭১ সালের রণাঙ্গনে মুক্তিযুদ্ধ ছিল, স্বাধীনতা অর্জনের শান্তিপূর্ণ রাজনীতি, চূড়ান্ত পর্বে সশস্ত্র রাজনীতি। যদি আগামী দিনে বাংলাদেশে আবার একটি যুদ্ধ করতে হয় তার জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। একটা কথা পরিষ্কার করতে চাই, সেটা হচ্ছে রাজপথের যুদ্ধ, স্বশস্ত্র যুদ্ধ না। রাজপথের যুদ্ধ হচ্ছে রাজনৈতিক যুদ্ধ। সেখানে আমরা সবাই এক সাথে থাকবো সেই আশা করছি।
তিনি বলেন, জানুয়ারি মাসের ২৭ তারিখ ধানমন্ডির একটি রেস্টুরেন্টে দুপুর বেলার দোয়া মাহফিলে সামরিক বাহিনীর ৫০ জন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। এটা আমাদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে গিয়েছিল।
সবাই আমাদেরকে আশঙ্কিত মনে করা শুরু করেছে। এ কারণে আজকে আমরা অনেককেই দাওয়াত দেইনি। তাদেরকে আমরা আজকের প্রোগ্রামে কম রেখেছি কারণ যাতে কেউ আতঙ্কিত না হয়।
সৈয়দ ইবরাহিম বলেন, এই জবরদস্তের সরকারকে আর চলতে দেয়া যাবে না। আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সিনিয়র-জুনিয়র, বড়-ছোট এই ভেদাভেদ থেকে যথাসম্ভব বেরিয়ে আসতে হবে। এসব ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য চেষ্টা করতে হবে। আমরা কোনো ষড়যন্ত্রের শিকার হতে চাই না। আমরা রাজপথের আন্দোলনে শরিক হতে চাই। আমি আপনাদের কাছে ওয়াদা করছি, সবার সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবো।
তিনি বলেন, আমরা ২০ দলীয় জোটে আছি। ২০ দলীয় জোট যেমনি চলবে, আমরা তেমনি চলবো। তবে আমরা নিজেরাও চেষ্টা করবো নিজের পায়ে দাঁড়াতে। বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি নিজেদের পুনর্গঠিত করে ঘুরে দাঁড়াতে চায়।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনে আলেম-ওলামা ও ধর্মীয় অঙ্গনকে বাদ দিয়ে কোনো দিন কোনো কিছু সম্ভব নয় মন্তব্য করে সৈয়দ ইবরাহিম বলেন, একথা আমাদের মনে রাখতে হবে যে, আলেম-ওলামাদের সব সময় সাথে রাখতে হবে। কেউ বেশি শিক্ষিত, কেউ কম শিক্ষিত এইসব তফাৎ আমাদের ভুলে যেতে হবে। কারণ গণতন্ত্র সবার জন্য। তাই সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান মেজর অব. শাহজাহান ওমর বীর উত্তম, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী, এলডিপির মহাসচিব ড. রেদওয়ান আহমেদ প্রমুখ।