জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর যৌথ উদ্যাপনে অংশ নিতে আজ দু’দিনের সফরে ঢাকা আসছেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দ্র রাজাপাকসে। আজ সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন তিনি। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে স্বাগত জানাবেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে- বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকতা সেরে লঙ্কান প্রধানমন্ত্রী যাবেন সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে। সেখানে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন। আজ বিকালে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে চলমান ১০ দিনের অনুষ্ঠানমালার তৃতীয় দিনে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন তিনি। শনিবার প্রেসিডেন্ট মো. আব্দুল হামিদের সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক হবে তার। সেগুনবাগিচার সরবরাহ করা তথ্য মতে, শনিবার সকালে লঙ্কান প্রধানমন্ত্রী ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করবেন।
সেখানে তিনি বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। মোট ২৮ সদস্যের প্রতিনিধিদল লঙ্কান প্রেসিডেন্টের সফরসঙ্গী হিসেবে ঢাকা আসছেন। ওই টিমে দেশটির শিক্ষামন্ত্রী, তাঁত ও বস্ত্র বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী, আঞ্চলিক সহযোগিতা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী, গৃহায়ন ও গৃহনির্মাণ সামগ্রী শিল্প বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী, অর্থ প্রতিমন্ত্রীসহ উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা রয়েছেন। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন হয় ১৯৭২ সালে। উভয় দেশ ২০২২ সালে কূটনৈতিক সম্পর্কের পঞ্চাশতম বার্ষিকী উদ্যাপন করবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে লঙ্কান প্রধানমন্ত্রীর সফরে দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কৃষি, উপকূলীয় জাহাজ চলাচল, শিক্ষা ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সইয়ের প্রস্তুতি রয়েছে। এ ছাড়াও ঢাকা-কলম্বো দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বাড়াতে জোর দেয়া হবে। তবে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বহু দিন ধরে আলোচনায় থাকা ‘মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি’ এবারো সই হচ্ছে না বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ২০১৭ সালে তৎকালীন লঙ্কান প্রধানমন্ত্রী মৈত্রিপালা সিরিসেনার সফরে এ নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছিল। সেই সফরের যৌথ বিবৃতিতে, দ্রুততম সময়ের মধ্যে এফটিএ সইয়ে ঢাকা ও কলম্বো সম্মত হয়েছে বলে ঘোষণা এসেছিল। উল্লেখ্য, আগামী ২০শে মার্চ সন্ধ্যায় সফরসঙ্গীদের নিয়ে ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার আগে শ্রীলঙ্কার প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দ্র রাজাপাকসের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবীরের সৌজন্য সাক্ষাতের কথা রয়েছে।