শিক্ষার্থীদের সশরীরে ক্লাসে ফেরানোর পরিবর্তে অনলাইনে এবং সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের আলোকে অ্যাসাইনমেন্টভিত্তিক পাঠ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। আগামী শনিবার থেকেই মাধ্যমিকের সব ক্লাসের অ্যাসাইনমেন্টভিত্তিক মূল্যায়ন শুরু হচ্ছে। ফলে অনিশ্চিত হচ্ছে নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষা। অন্য দিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি বাড়িয়ে শিক্ষার্থীদের বাসাবাড়িতেই লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক নিজেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার কথাও জানিয়েছেন। সব মিলিয়ে শিগগিরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানোর ঘোষণা আসতে পারে।
এ দিকে করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে এটা সহজেই অনুমেয় যে, সহসাই খুলছে না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ইতোমধ্যে করোনার কারণে প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সরকারের উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তিরাও স্কুল-কলেজ না খোলার পক্ষে বক্তব্য দিয়েছেন। সর্বশেষ গতকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষার্থীদের বাসায় থেকে পাঠ কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মাধ্যমিকের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট প্রকাশ করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) থেকে শিক্ষার্থীদের বাসায় বসে নিয়মিত পঠন মূল্যায়ন যাচাই করতে এ অ্যাসাইনমেন্ট দেয়া হয়েছে। মাউশির ওয়েবসাইট থেকে এই অ্যাসাইনমেন্ট সংগ্রহ করতে পারবে সবাই।
মাউশি’র নির্দেশনা অনুযায়ী গত বছরের মতো এ বছরও ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট ও নির্ধারিত কাজের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হবে। আগামী শনিবার থেকে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ অ্যাসাইনমেন্টের আলোকে মূল্যায়ন কার্যক্রম শুরু হবে। এ লক্ষ্যে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের প্রথম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর।
সূত্র আরো জানায়, গত বছরের মতোই ষষ্ঠ থেকে নাবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের প্রতি সপ্তাহে অ্যাসাইনমেন্ট ও নির্ধারিত কাজ দেয়া হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে। প্রতি সপ্তাহে শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট ও নির্ধারিত কাজ প্রকাশ করা হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিটি শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচি পুনর্বিন্যাস করে শিক্ষার্থীদের শিখনপ্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে অ্যাসাইনমেন্ট ও মূল্যায়ন ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে শিক্ষা অধিদফতর। সূত্র আরো জানায়, আগামী শনিবার থেকে অ্যাসাইনমেন্ট প্রদান ও জমা নেয়ার কাজ শুরু হবে। অ্যাসাইনমেন্ট ও নির্ধারিত কাজ ছাড়া কোনো ধরনের পরীক্ষা বা বাড়ির কাজ শিক্ষার্থীদের দেয়া যাবে না।
গত শিক্ষাবর্ষের মতো আগের নিয়মেই শিক্ষার্থীদের ‘অতি উত্তম, উত্তম, ভালো ও অগ্রগতি প্রয়োজন’ ইত্যাদির মাধ্যমে অ্যাসাইনমেন্টগুলোর শাব্দিক মূল্যায়ন করতে বলা হয়েছে শিক্ষকদের। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের সবল ও দুর্বল দিকগুলো খাতায় চিহ্নিত করে তা লিপিবদ্ধ করতে বলা হয়েছে।