রাতুল মন্ডল শ্রীপুর প্রতিনিধি: গাজীপুরের শ্রীপুরের সাতখামাইর গ্রামে খালেদা বেগম শীলা(৪৫) নামের এক গৃহবধুকে শিশু সন্তানের সামনে পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহ ফ্যানে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত স্বামী মনোয়ার হোসেন মজনু (৪৫) একই উপজেলার ডালেশ্বর গ্রামের নুরু ফকিরের ছেলে। গত শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকেই গৃহবধুর স্বামী পলাতক রয়েছে।
নিহত গৃহবধু সাতখামাইর গ্রামের মৃত শাহাবুদ্দিন আকন্দের মেয়ে। তার মাইমুমা মম(১০) ও সাদিয়া কাজল শাবন্তি (২০)নামের দুই জন কন্যা সন্তান রয়েছে।
গৃহবধুর পরিবারের ভাষ্যমতে, মনোয়ার হোসেন মজনু-খালেদা বেগম শীলা দম্পতির দ্বিতীয় সংসার ছিল এটি। পূর্বের সংসারে শীলার স্বামীর সাথে বিচ্ছেদ হলে সে সংসারের কন্যা শাবন্তিকে নিয়ে সাতখামাইর এলাকায় বাবার দেয়া জমিতে বাড়ী নির্মান করে খালেদা আক্তার বসবাস করে আসছিল। এক যোগ পূর্বে মজনু-খালেদার দ্বিতীয় সংসার শুরু হয়। এই দম্পতির সংসারে শিশু মম ছিল একমাত্র সন্তান।
গত শনিবার সন্ধ্যার পর শীলা তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে তার মেয়ে মমকে মারধর করেন এ ঘটনায় উত্তেজিত হয়ে মজনু তার স্ত্রীকে মারধর, কিল লাথি দিয়ে আহত করেন।
নিহতের শিশু কন্যা মম বলেন,তার মাকে মারধর করেই ক্ষান্ত হয়নি তার বাবা। একপর্যায়ে বুকের উপর উঠে নাচানাচি করেন। এসময় তার মা নিস্তেজ হয়ে যান। সে তখন বুঝতে পেরেছিল তার মা ঘুমিয়ে পড়েছেন, তাই সেও সে সময় ঘুমিয়ে পড়েন।
নিহতের অপর মেয়ে শাবন্তি বলেন,তার সৎ বাবা যখন বুঝতে তার মা মারা গেছেন তখন তার নিথর দেহ শয়ন কক্ষ থেকে বের করে পাশের একটি কক্ষে নিয়ে গলায় ওড়না বেধে ফ্যানে ঝুলিয়ে দেন। এসময় পাশের বাড়ীতে তার নানীকে খবর দিয়ে দ্রুত সটকে পড়েন তার বাবা। পরে তার নানী এসে তার মাকে গলায় ওড়না দিয়ে ফ্যানের সাথে বাধা অবস্থায় দেখতে পান। যদিও এসময় তার মায়ের হাটু ঘরের মেঝেতেই লাগা অবস্থায় ছিল। সেখান থেকে দ্রুত তার নানী অন্যান্য স্বজনদের সহযোগিতায় তার মাকে উদ্ধার করে শ্রীপুর হাসপাতালে নিয়ে গিলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষনা করেন। তাদের ধারনা তার বাবা তার মাকে হত্যার পর আতœহত্যা বলে চালিয়ে দিতে ফ্যানে ঝুলিয়ে দেয়।
এ বিষয়ে পরিদর্শক(অপারেশন) গোলাম সারোয়ার বলেন, এ বিষয়ে নিহতের মেয়ে বাদী হয়ে অভিযোগ দিয়েছেন। এ সংক্রান্ত মামলা প্রক্রিয়াধীণ রয়েছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।