নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাটে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর ভাই পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকের মধ্যে ফের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি, চার পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। দুগ্রুপের গোলাগুলি, ককটেল বিস্ফোরণে এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।
আহতরা হলেন, কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহিদুল হক রনি, কনস্টেবল কালাম, আলাউদ্দিনসহ পাঁচ পুলিশ এবং উভয় পক্ষের মো: আজিজ খোকন (৫০), মো: করিম (৪৫), গুলিবিদ্ধ মো: রাজিব হোসেন (২৪), মো: এমরান হোসেন (২৪) ও জিংকু (২০)সহ অন্তত ২০ জন। আহতদের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খাঁনের ওপর হামলার প্রতিবাদে বসুরহাট বাজারের রুপালী চত্বরে আয়োজিত প্রতিবাদ সভার শেষ মুহূর্তে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলা আ’লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খাঁনের ওপর হামলার প্রতিবাদে রুপালী চত্বরে প্রতিবাদ সভা চলছিল। প্রতিবাদ সভার একেবারে শেষ মুহূর্তে উভয় গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। উভয় গ্রুপ এক অপরকে লক্ষ্য করে ককটেল ও ছোড়া গুলি ছুঁড়ে এবং সভার পার্শ্ববর্তী এলাকা মাকসুদাহ স্কুল রোডে ব্যাপক ককটেল বিস্ফোরণ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও গোলাগুলির ফলে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ দু’পক্ষের মাঝখানে অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনার পর বসুরহাট বাজার জুড়ে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। যেকোনো সময় আবারো সংঘর্ষের আশংকা করছে স্থানীয় লোকজন।
এ বিষয়ে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ফোনে জানান, গতকাল যারা মুজিব শতবর্ষ উদযাপনের মঞ্চ ভাংচুর করেছে জনগণ আজকে তাদের প্রতিহত করেছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনির ফোনে কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
কোম্পানীগঞ্জ থানার (ওসি) তদন্ত রবিউল হক জানান, কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনিসহ আমাদের পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।