বরিশালে ছাত্রলীগ সভাপতি জসিম উদ্দিনের পরিচয়ে প্রকাশ্যে লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় নগরীর বিবিরপুর পাড় এলাকায় টপ টেন শোরুমে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় তাদেরকে বাধা দিতে গেলে শোরুমের একাধিক কর্মচারীকে মারধর করা হয়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে পালানোর সময় ৫ জনকে হাতেনাতে আটক করে থানা পুলিশে সোপর্দ করেছে ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
জানা গেছে, নগরীর প্রাণকেন্দ্র বিবিরপুর পাড়ে সদ্য উদ্বোধন করা টপ টেন শোরুমের কর্মচারীরা বেচাকেনায় ব্যস্ত সময় পার করছিলেন। আচমকা ৫০-৬০ জনের একটি দল শোরুমের বিভিন্ন কক্ষে ঢুকে জামা কাপড় দেখতে চায়। এ সময় তারা নিজেদের ছাত্রলীগ সভাপতি জসিমের লোক বলে দাবি করে জামা, জুতা, ঘড়িসহ যে যার মতো চলে যেতে উদ্যত হলে তাদের বাধা দেয়ায় শোরুমের কর্মচারীদের মারধর করা হয়। পরে কর্তৃপক্ষ ৯৯৯-এ কল করলে হামলাকারীরা পালানোর চেষ্টা করে।
এ সময় ৫ জনকে হাতেনাতে আটক করে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশে সোপর্দ করেছে ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
টপ টেন-এর হিসাবরক্ষক জসিমউদ্দিন জানান, সন্ধ্যা ৬টার দিকে ৩০-৩৫ জন যুবক একসঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে। কেনাকাটার অজুহাতে জুতা, পোশাক, প্রসাধনীসহ অন্যান্য পণ্য দেখে তাদের সঙ্গে আনা ব্যাগে ঢুকিয়ে ফেলে। এ সময় তাদের প্রতিষ্ঠানের নিয়ম মেনে বিল প্রস্তুত করার জন্য বলা হলে তারা নিজেদেরকে ছাত্রলীগ নেতা জসিম ও সোহাগের পরিচয় দিয়ে বলে ‘তারা আমাদের কেনাকাটা করতে পাঠিয়েছে’।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান ফটকের নিরাপত্তাকর্মী মো. সাগর বলেন, একসঙ্গে ৩০-৩৫ যুবকের ঢুকে পড়ার সময় বিষয়টি অস্বাভাবিক লাগছিল। ভেতরে হট্টগোল শুরু হলে প্রধান ফটক আটকে দেয়া হয়। এ সময় তারা গ্লাস ভেঙে বেরিয়ে যায়। পুরো ঘটনা ঘটেছে মাত্র ১০-১২ মিনিটের মধ্যে। তাৎক্ষণিক আটককৃতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি জসিম উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কে বা কারা এ কাজ করেছে আমি জানি না।’ এ ব্যাপারে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের এসআই মেহেদী বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ৫ জনকে আটক করা হয়েছে।