ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে ও বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে জাতিসঙ্ঘের চূড়ান্ত সুপারিশ প্রাপ্তিতে দেশব্যাপী আনন্দ উদযাপন করবে পুলিশ বাহিনী। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীটির এই উদযাপনে থাকবে হাইওয়েসহ দেশের ৬৬০টি থানায় একই সময়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ, আলোচনা সভা, প্রীতিভোজ ও মিষ্টি বিতরণ।
শুক্রবার সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস অডিটোরিয়ামে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।
পুলিশের ফেসবুক পেইজ থেকে সংবাদ সম্মেলনটি লাইভ সম্প্রচার করা হয়। এসময় ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘গত মাসের ২৬ তারিখে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে জাতিসঙ্ঘের চূড়ান্ত সুপারিশ প্রাপ্তি ও ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের দিনটিতে দেশব্যাপী আনন্দ উদযাপন করবে পুলিশ। দিনটি দেশের ৬৬০টি থানায় বিকেল ৩টায় একযোগে উদযাপন করা হবে। দেশের সব থানার বাইরে আলোচনা সভা ও প্রীতিভোজের আয়োজন করা হবে, মিষ্টি বিতরণ করা হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাই এসব অনুষ্ঠানে যোগ দেবে। অনুষ্ঠানে পুলিশ সদস্য ছাড়াও স্থানীয় জনপ্রশাসনসহ নেতৃবৃন্দ থাকবে।
পুলিশ প্রধান আরো বলেন, `আমি সবাইকে হাত ধুয়ে, মাস্ক পরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার অনুরোধ করছি।’
আইজিপি বলেন, `২০০৮ সালের পর থেকে বাংলাদেশের উন্নয়নে আমূল পরিবর্তন এসেছে। দারিদ্র্য অনেক কমেছে, এখন মিউজিয়ামে যাওয়ার উপক্রম। আগে সবাই বলতো ইলেকট্রিসিটি কবে আসবে, এখন বলে কবে যাবে। দেশের এসব উন্নয়নকেই উদযাপন করবে পুলিশ।’
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বের হয়ে যাওয়ার সুপারিশ পায় বাংলাদেশ। জাতিসঙ্ঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (সিডিপি) এ সুপারিশ করেছে। এর পর জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস এক ভিডিও বার্তায় বাংলাদেশকে ‘অভিনন্দন’ জানান। যদিও বাংলাদেশকে এলডিসি থেকে বের হতে ২০২৬ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
অপর দিকে, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণকে ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর ইউনেস্কো ‘ডকুমেন্টারি হেরিটেজ’ বা বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। বাংলাদেশ পুলিশ প্রথমবারের মতো এই দিনটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদযাপন করতে যাচ্ছে।