কারাগারে বন্দী অবস্থায় লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ঘটনায় গঠিত সব তদন্ত কমিটির রিপোর্টেই তার ‘স্বাভাবিক মৃত্যুর’ তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, গাজীপুরের জেলা প্রশাসন ও কারা অধিদফতরের গঠিত কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনে এটিকে ‘স্বাভাবিক মৃত্যু’ উল্লেখ করা হয়েছে। এমন তথ্য তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল আরো বলেন, ‘ময়নাতদন্তে যেটা আসছে, সেটাতেও কোনো আঘাতের চিহ্ন তার গায়ে পায়নি। পোস্টমর্টেমে প্রাথমিকভাবে ডাক্তাররা যেসব অভিমত করেছেন, এগুলো কিন্তু লিখিত অভিমত নয়। পোস্টমর্টেমের রিপোর্টটা এলে আমরা চূড়ান্তভাবে জানতে পারবো।’
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় কাশিমপুর কারাগারের ভেতরে অসুস্থ হয়ে পড়েন লেখক মুশতাক আহমেদ। প্রথমে কারা হাসপাতাল ও পরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গত বছর মে মাসে লেখক মুশতাক আহমেদ, কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য দিদারুল ইসলাম ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক মিনহাজ মান্নানকে গ্রেফতার করে র্যাব। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক কথাবার্তা ও গুজব ছড়ানোর অভিযোগে এসময় মোট ১১ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে নিরাপত্তা বাহিনীটি। সেই মামলায় দু’জন জামিনে মুক্তি পেলেও মুশতাক ও কিশোরের জামিন আবেদন ছয় বার আদালতে নামঞ্জুর হয়।