কোম্পানীগঞ্জের সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মুজাক্কির হত্যার ঘটনায় মামলা হওয়ার পরও গ্রেপ্তার হয়নি কোন আসামি। এরই মধ্যে পেরিয়ে গেছে এক সপ্তাহেরও বেশি সময়। কোন আসামিকেও গ্রেপ্তার তো দূরের কথা, কাউকে চিহ্নিত করতে পারেনি মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা। এ নিয়ে সাংবাদিক মহলের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। আসামিদের গ্রেপ্তার দাবিতে ইতিমধ্যে নানা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সাংবাদিক সংগঠনগুলো। উল্লেখ্য, গত ১৯শে ফেব্রুয়ারি বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের চাপরাশিরহাট তরকারি বাজারের সামনে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বাদল গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ও গুলির ঘটনা ঘটে। ওই সময় সাংবাদিক মুজাক্কির সংঘর্ষের সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে তার গলায় ছররা গুলি লাগে। এ অবস্থায় প্রথমে তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়।
পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একপর্যায়ে সংকটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালের আইসিইউতে নেয়া হয়। ২০শে ফেব্রুয়ারি শনিবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ২৩শে ফেব্রুয়ারি সকালে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে নিহতের বাবা নুরুল হুদা ওরফে নোয়াব আলী মাস্টার বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, স্থানীয় ফয়সাল ও মঞ্জুকে ধরতে পারলে আলোচিত মামলার মোটিভ উদঘাটিত হবে। এদিকে সাংবাদিক মুজাক্কিরের খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ১লা মার্চ থেকে নোয়াখালীতে আন্দোলন শুরুর আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে। গতকাল মুজাক্কিরের কবর জিয়ারত করে এ ঘোষণা দেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। এসময় দেশব্যাপী সকল জেলা-উপজেলায় কলমবিরতি পালনের জন্য বিএমএসএফের কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে সকল সাংবাদিক ও সংগঠনসমূহকে আহবান জানানো হয়েছে। এর আগে একই দাবিতে বিএমএসএফের ডাকে দেশব্যাপী প্রতিবাদ সমাবেশ পালন করে। ১লা মার্চ সকালে নোয়াখালী প্রেসক্লাব থেকে কালো পতাকার মিছিল সমাবেশ ও স্মারকলিপি দেয়ার কর্মসূচি পালন করা হবে।