ঢাকাঃ সাংবিধানিকভাবে বিচার বিভাগ স্বাধীন, কিন্তু বাস্তবে তা কতটুকু আমরা সকলেই জানি এবং বুঝি। রাষ্ট্রের তিনটি (নির্বাহী, আইন ও বিচার) বিভাগের চৌহদ্দি সংবিধানে নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে। যেখানে একে অপরের পরিপূরক হিসেবে থাকার নির্দেশনাও আছে। এছাড়া নিজ নিজ পরিধির মধ্য থেকে কে কতটুকু কাজ করবে তা সংবিধানে নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে, যাতে কেউ রেখা অতিক্রম করতে না পারে। এমন কিছু যেন আমরা না করি, যাতে সুবিচারের প্রতীক শ্বেতশুভ্র অট্টালিকাটির (সুপ্রিম কোর্ট) গায়ে কালিমা লাগে। রোববার শেষ কর্মদিবসের বিদায়ী ভাষণে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার সবার প্রতি এ অনুরোধ জানান। বিদায়ী ভাষণে তিনি বলেন, বিচার ব্যবস্থা তার নিজস্ব গতিতেই চলে। শত চেষ্টা চালিয়েও কেউ তার গতি রোধ করতে পারে না, পারবে না। যত বাধা-বিপত্তি কিংবা ঘাত-প্রতিঘাতই আসুক না কেন আমাদের ঐকান্তিক ও ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় বিচার বিভাগের গতি কেউ রোধ করতে পারবে না।
প্রায় ২০ বছরের বিচারিক জীবন শেষে অবসরে গেলেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার।
আপিল বিভাগে ভার্চুয়ালি অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে তাকে বিদায়ী সংবর্ধনা দেয়া হয়। বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার বলেন, আমি বিশ্বাস করি সবার যৌথ প্রয়াসেই বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা আরও পরিণত ও উন্নত হবে। সমষ্টিগত প্রয়াস ও প্রচেষ্টাই ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পূর্বশর্ত। তাই বিচারক থেকে শুরু করে বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত সবারই নিবিড়ভাবে সংযুক্ত হয়ে কাজ করতে হবে। সুবিচার ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হলে বিচারালয়ের সর্বনি¤œ পর্যায়ের কর্মকর্তা থেকে সর্বোচ্চ পদাধিকারীর ঐক্যবদ্ধ থাকা একান্ত প্রয়োজন।