সৈয়দপুর (নীলফামারী): সৈয়দপুর পৌরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় একজন নিহত হয়েছে। এ সময় অন্তত পক্ষে আরো দু’জন আহত হয়েছেন।
নিহত ব্যক্তির নাম ছোটন অধিকারী (৫১)। তিনি শহরের মুন্সিপাড়া এলাকার মৃত নিতাই অধিকারীর ছেলে। নিহত ছোটন কাউন্সিলর প্রার্থী নজরুল ইসলাম রয়েলের সমর্থক ছিলেন।
হাসপাতালে ভর্তি আহত আজম আলী সরকার জানান, ‘সৈয়দপুর মহিলা কলেজের সামনে আমার পরিচিত ছোটন অধিকারীকে কাউন্সিলর প্রার্থী আক্তার হোসেন ফেকুর সমর্থকরা মারধর করছিল। এ সময় আমি প্রতিবাদ করায় তারা আমার ওপর চড়াও হয়। আমাকে মারধর করলে আমি মাটিতে পড়ে যাই। এ সময় এলাকাবাসী আমিসহ তিনজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে জানতে পারি ছোটন অধিকারী মারা গেছে।’
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ চলছিল। সকাল ১১টার দিকে পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের দুই কাউন্সিলর প্রার্থী নজরুল ইসলাম রয়েল ও আখতার হোসেন ফেকুর সমর্থকদের মধ্যে কথাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে হাতাহাতি থেকে তা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় রূপ নেয়। বর্তমানে ভোটগ্রহণ চললেও এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে সৈয়দপুর পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) রফিকুল ইসলাম জানান, এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সামান্য ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। বড় কোনো ঘটনা নয়। তবে একজন নিরিহ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এটা খুবই মর্মান্তিক।
সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা: ওমিদুল হাসান জানান, দুপুর ১টার দিকে ছোটন অধিকারীকে তার স্ত্রী ও লোকজন হাসপাতালে নিয়ে আসে। আমরা তাকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। আহত দু’জনকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) আবুল হাসনাত খান জানান, ‘আমি খবর পেয়েছি। একজনকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়েছিল, তিনি মারা গেছেন। আমাদের কোনো কেন্দ্রে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা হয়নি। তার মৃত্যুর কারণ জানতে চেষ্টা করছি।’
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।