নোয়াখালী:নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষের সময় গুলিতে নিহত সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির হত্যার ঘটনায় আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। নিহত হওয়ার ৫ দিন পরও আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।
বৃহস্পতিবার সকালে নোয়াখালী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কিরের বাবা নোয়াব আলী মাস্টার, মা মমতাজ বেগম, বড় ভাই নুর উদ্দিন ও তার ভগ্নিপতি আব্দুস সাত্তারসহ পরিবারের লোকজন।
তারা বলেন, ঘটনার পর থেকে এ পর্যন্ত চারটি মামলা দায়ের হলেও এখন পর্যন্ত প্রকৃত কোনো আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে আসামিদের যথাযোগ্য শাস্তি নির্ধারণ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
তারা বলেন, থানায় দায়ের করা মামলাটি ইতোমধ্যে পিবিআইতে হস্তান্তর করা হয়েছে। একটি মামলা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল ও অন্য দুটি মামলা কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ দায়ের করেছে। কিন্তু কেউ গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের চাপরাশিরহাট তরকারি বাজারের সামনে সেতুমন্ত্রীর ছোট ভাই কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বাদল গ্রুপের মধ্যে রক্ষক্ষয়ী সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। ওই সময় সাংবাদিক মুজাক্কির সংঘর্ষের সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে গুলিবিদ্ধ হন। এ অবস্থায় প্রথমে তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিলে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। পরে ১৯ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়। একপর্যায়ে সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় ২০ ফেব্রুয়ারি রাত পৌনে ১১টায় আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়।