স্বর্ণের বাজারে বড় পতন

Slider অর্থ ও বাণিজ্য


গত সপ্তাহে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে বড় পতন হয়েছে। এতে সাত মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে চলে গেছে স্বর্ণের দাম। স্বর্ণের পাশাপাশি গত সপ্তাহ জুড়ে অপরিশোধিত তেলের দামও কমেছে। দরপতনের এ তালিকায় রয়েছে রূপাও।

গেল এক সপ্তাহে স্বর্ণের দাম কমেছে ২ দশমিক ১৪ শতাংশ। রূপার দাম কমেছে দশমিক ৩০ শতাংশ। অপরদিকে পরিশোধিত তেলের দাম দশমিক ৮৭ শতাংশ কমেছে। তবে ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে দশমিক শূন্য ৩৭ শতাংশ বেড়েছে।

মহামারী করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমে আসায় কয়েক সপ্তাহ ধরেই বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম নিম্নমুখী। বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম নিম্নমুখী হওয়ায় গত ১৩ জানুয়ারি থেকে দেশের বাজারেও স্বর্ণের দাম কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।

১২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত বাজুসের কার্যনির্বাহী কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১৩ জানুয়ারি থেকে দেশের বাজারে ভালো মানের, অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের প্রতিভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম এক হাজার ৯৮৩ টাকা কমিয়ে ৭২ হাজার ৬৬৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পাশাপাশি ২১ ক্যারেটের স্বর্ণ ৬৯ হাজার ৫১৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ ৬০ হাজার ৭৬৯ টাকায় ও সনাতন পদ্ধতির প্রতিভরি স্বর্ণ ৫০ হাজার ৪৪৭ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

স্বর্ণের দাম কমলেও রুপার পূর্বনির্ধারিত দাম বহাল রয়েছে। ক্যাটাগরি অনুযায়ী ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি রূপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫১৬ টাকায়। ২১ ক্যারেটের রূপার দাম ১ হাজার ৪৩৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ১ হাজার ২২৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রূপার দাম ৯৩৩ টাকা।

বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম কমানোর পর বিশ্ববাজারে কয়েক দফা দাম কমেছে। গেল সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ৮ দশমিক ৯০ ডলার বাড়ার পরও সপ্তাহের ব্যবধানে দাম কমেছে ২ দশমিক ১৪ শতাংশ। এতে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম কমে ১৭৮৪ দশমিক ৩৯ ডলারে দাঁড়িয়েছে। এর মাধ্যমে মাসের ব্যবধানে স্বর্ণের দাম কমেছে ৪ দশমিক ৬২ শতাংশ।

অপরদিকে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দশমিক ৯৩ শতাংশ বাড়ার পরও সপ্তাহের ব্যবধানে বিশ্ববাজারে রূপার দাম কমেছে দশমিক ৩০ শতাংশ। এতে প্রতি আউন্স রূপার দাম দাঁড়িয়েছে ২৭ দশমিক ২৭ ডলার।

এদিকে স্বর্ণ ও রূপার দরপতনের সাথে গেল সপ্তাহে তেলের দামেও নেতিবাচক প্রবণতা দেখা গেছে। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম ১ দশমিক ৫১ ডলার কমে ৫৮ দশমিক ৯৫ ডলারে দাঁড়িয়েছে। এই দরপতনের ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিশোধিত তেলের দাম কমেছে দশমিক ৮৭ শতাংশ।

অপরিশোধিত তেলের পাশাপাশি সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দাম কমেছে ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের। প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম ১ দশমিক ২৭ ডলার কমে ৬২ দশমিক ৬৬ ডলারে দাঁড়িয়েছে। শেষ কার্যদিবসে দাম কমলেও সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম বেড়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম বেড়েছে দশমিক ৩৭ শতাংশ। আর মাসের ব্যবধানে বেড়েছে ১১ দশমিক ৭৩ শতাংশ। এর মাধ্যমে ১৩ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছে ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *