সিলেটের একজন ব্যাংক কর্মকর্তাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। নগরীর কোর্ট পয়েন্টে শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। ভাড়া নিয়ে বচসাকে কেন্দ্র করে অটোরিক্সা পরিবহন শ্রমিকদের পিটুনিতে এই ব্যাংক কর্মকর্তা মারা গেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। এদিকে-নগরীর ব্যস্ততম ওই এলাকার খুনের ঘটনা নিয়ে রহস্য দেখা দিয়েছে। ব্যাংক কর্মকর্তাকে মারধোরের খবর জানলেও পুলিশ তাৎক্ষণিক এসে রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি। পুরো ঘটনাকে আড়াল করার চেষ্টায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন পরিবহন শ্রমিকরা। পরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে পুলিশ লাশ খুঁজে পায়। রাতভর ওই লাশের কোনো পরিচয়ও পায়নি পুলিশ।
পরে মোবাইল ফোনের কল লিস্টের সূত্র ধরে স্বজনের সন্ধান মিলে। সিলেট নগরীর কোর্টপয়েন্ট। ব্যস্ততম একটি এলাকা। সব সময় মানুষের ভিড় থাকে ওই এলাকায়। ওখানে রয়েছে সিএনজি অটোরিক্সা, লেগুনা সহ কয়েকটি পরিবহনের অস্থায়ী স্ট্যান্ড। এর মধ্যে মধুবন সুপার মার্কেটের সামনের অংশ থেকে সিএনজি অটোরিক্সা যায় তামাবিল রুটে। জৈন্তাপুর থেকে সরসরি সিএনজি আসে ওখানে। জৈন্তাপুরের গ্যাস ফিল্ড শাখার অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তা মওদুদ আহমদ। তার কর্মস্থল হরিপুরের গ্যাস ফিল্ডে হলেও তিনি বসবাস করেন সিলেট নগরীর রাজারগলি এলাকার একটি ভাড়া বাসায়। তার মুল বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরিপুর উপজেলার টেংগুড়িপাড়া গ্রামে। ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন- মওদুদ আহমদ হরিপুর শাখার অফিসার (ক্যাশ) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। শনিবার তিনি নগরীর দরগাহ গেইট থেকে সিএনজি অটোরিক্সা যোগে কোর্ট পয়েন্টে পৌছেন। স্থানীয় কোর্ট পয়েন্টে সিএনজি থেকে নামার পর কয়েকজন যুবক তার উপর হামলে পড়ে। সিএনজি অটোরিক্সা স্ট্যান্ডের ফাঁকা স্থানে নিয়ে তাকে এলোপাতারি মারধোর করা হয়। প্রায় ১৫ মিনেটের মারধরে এক সময় নিস্তেজ হয়ে পড়েন ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াদুদ। এ সময় দু’জন সিনিয়র অটোরিক্সা শ্রমিক ওই কর্মকর্তাকে সিএনজি অটোরিক্সাতে তুলে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার তার শাররীক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে দ্রুত আইসিইউতে স্থানান্তর করেন। রাতেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ওই ব্যাংক কর্মকর্তা।