আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙের অভিযোগ এনে নোয়াখালীতে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে।
শুক্রবার সকাল ১১টায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ দলের অঙ্গসংগঠনের ব্যানারে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, নোয়াখালী শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু। এ ছাড়া বক্তব্য রাখেন, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা সামছুদ্দিন জেহান, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান নাছের, জেলা যুবলীগ আহ্বায়ক ইমন ভট্ট, যুগ্ম আহ্বায়ক একরামুল হক বিপ্লব, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আসাদুজ্জামান আরমানসহ অনেকে।
নেতারা তাদের বক্তব্যে বলেন, আবদুল কাদের মির্জা দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অপরাজনীতির অভিযোগ করে আর নিজেই অপরাজনীতিসহ নানা অনিয়ম করে বেড়াচ্ছে। তিনি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ করে দলীয় প্রধান তথা সরকার প্রধান শেখ হাসিনা, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, জেলা সভাপতি-সেক্রেটারিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী ও সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অশোভন আচরণ করে যাচ্ছেন। বিএনপি-জামায়াতের মতো রাষ্ট্রযন্ত্রের তথা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নানা মিথ্যা অভিযোগ করছেন, যা দলীয় শৃঙ্খলা ও রাষ্ট্রবিরোধীও। এমন অবস্থায় নেতাকর্মীরা আবদুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙের দায়ে সাংগঠনিক ব্যবস্থা ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
এ দিকে নোয়াখালীতে দলীয় অপরাজনীতি বন্ধ ডিসি, এসপি ও কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসিকে প্রত্যাহার এবং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলসহ বেশ কিছু নেতাকর্মীকে গ্রেফতারের দাবিতে থানার সামনে অবস্থান ধর্মঘট করেছেন আবদুল কাদের মির্জা। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত এ অবস্থান ধর্মঘট চলে।
এ সময় তিনি বলেন, তার দাবি না মানা পর্যন্ত এ অবস্থান ধর্মঘটন চলবে। তিনি তার সমর্থদের উদ্দেশে বলেন, আগামীকাল সকাল ১০টায় আপনারা আসবেন। আসার সময় লাঠি নিয়ে আসবেন। আমি সবার হাতে লাঠি দেখতে চাই। এখানে নিয়ম প্রতিষ্ঠা করতে হলে সবাইকে লাঠি নিয়ে বের হতে হবে। অস্ত্রের দরকার নেই। লাঠি হলে চলবে। কাউকে মারার দরকার নেই। শুধু হাঁটুর নিচে পিঠাবেন।
এসময় তিনি দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী এবং হেফাজতে ইসলামের সমালোচনা করেন।