স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন যে নিয়ম মেনেই সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের দুই ভাই আনিস আহমেদ ও হারিছ আহমেদের সাজা ‘মওকুফ’ করা হয়েছে।ঢাকার মগবাজারে এক অনুষ্ঠানে যোগদানের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী যে দণ্ডপ্রাপ্তদের ক্ষমা করার সুযোগ রয়েছে, তা আইনজ্ঞরাও বলেছেন।
‘যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যেমেই হারিছ ও আনিসের মুক্তির প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। এতে গোপনের কিছু নেই,’ বলেন তিনি। পুলিশের ওয়ান্টেড তালিকায় হারিছ আহমেদের নাম থেকে যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন যে কমিউনিকেশন গ্যাপের কারণে হারিছের নাম ও ছবি তালিকাভুক্ত রয়েছে।
জেনারেল আজিজ আহমেদের ভাই আনিস আহমেদ ও হারিছ আহমেদকে নিয়ে সম্প্রতি আল-জাজিরায় এক প্রতিবেদন প্রকাশের পর সেনাবাহিনী জানিয়েছিলো যে সেনাপ্রধানের ভাইয়েরা আগেই মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছিলেন।
তারা দুজনেই হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। আল জাজিরা তাদের প্রতিবেদনে ওই দু’জনকে পলাতক হিসেবে উল্লেখ করেছিলো। এ বিষয়ে মঙ্গলবার সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদও ঢাকায় আর্মি অ্যাভিয়েশন গ্রুপের একটি অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বিদেশে তার ‘পলাতক’ ভাইদের সাথে দেখা করা এবং বাংলাদেশে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে তাদের উপস্থিতি সম্পর্কে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘সেদিন আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে না কোন সাজা ছিল, না তার বিরুদ্ধে কোন মামলা ছিল।’
‘তার আগেই যে মামলাটি ছিল তা থেকে তাদের অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।’
পরে বাংলাদেশের গণমাধ্যমে খবর বেরোয় যে ২০১৯ সালের মার্চে তাদের সাজা মওকুফের প্রজ্ঞাপন জারি করেছিলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, যদিও এতোদিন তা প্রকাশ্যে আসেনি।
‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ শীর্ষক আল জাজিরার প্রতিবেদনটি সম্প্রচারের পর থেকে এ নিয়ে বাংলাদেশে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। ওদিকে আনিস আহমেদ ও হারিছ আহমেদের সাজা মওকুফের বিষয়টি জানাজানি হলে তা নিয়েও ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।
এ প্রেক্ষাপটেই গণমাধ্যমকর্মীরা আজ বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি আনিস আহমেদ ও হারিছ আহমেদের বিষয়ে ওই মন্তব্য করেন।