জাতীয় পার্টি কারো দয়া বা ভিক্ষার রাজনীতি করে না বলে মন্তব্য করেছেন পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের এমপি। জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় এ উপনেতা বলেন, জাতীয় পার্টি মহাজোটে নেই, জাতীয় পার্টি কোনো জোটেই নেই। পেশীশক্তি, কালোটাকা আর প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে নির্বাচন ব্যবস্থা কলুষিত করা হয়েছে। ফলে একটি দলের প্রার্থীরাই নির্বাচনে জিতছে। তাই রাজনীতির মাঠে অন্য দলগুলোর টিকে থাকাই দুরুহ হয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে যৌথ সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, ১৯৯১ সালের পর থেকে দেশে সাংবিধানিকভাবেই একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এতে আনুষ্ঠানিকভাবেই দেশে বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে। যারাই সরকার গঠন করে তারা আইনের ঊর্ধ্বে থেকে দুর্নীতি ও লুটপাটে জড়িত। উপজেলা পর্যায়ের নেতারাও বিদেশে হাজার কোটি টাকা পাচার করছে।
দুর্নীতি ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জাতীয় পার্টি রাজনীতি করছে উল্লেখ করে জিএম কাদের বলেন, জাতীয় পার্টি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গড়তে রাজনীতি করছে। জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগ বা বিএনপির বি-টিম নয়। নিজস্ব স্বকীয়তা নিয়ে রাজনীতির মাঠে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশ ও মানুষের অধিকারের প্রশ্নে জাতীয় পার্টি প্রধান বিরোধী দলের ভূমিকায় কখনোই আপস করছে না। কারো করুণা নয়, সম্মানের জন্য রাজনীতি করছে জাতীয় পার্টি।
জাতীয় পার্টি মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, দেশে মানুষের ভোটের অধিকার নেই। দেশে নির্বাচনের নামে প্রহসন চলছে, তাই ভোটের প্রতি সাধারণ মানুষের আগ্রহ নেই। দুর্নীতি, দুঃশাসন আর লুটপাটের রাজনীতির বিরুদ্ধে জাতীয় পার্টির সংগ্রাম চলবে।
এসময় বক্তব্য রাখেন- জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও মহিলা পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষক পার্টির সভাপতি সাহিদুর রহমান টেপা, অ্যাডভোকেট মো: রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ও সাংস্কৃতিক পার্টির আহ্বায়ক শেরিফা কাদের, উপদেষ্টা ও মহিলা পার্টির সদস্য সচিব হেনা খান পন্নি, ভাইস চেয়ারম্যান ও জাতীয় মটর শ্রমিক পার্টির সভাপতি মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক, ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তফা আল মাহমুদ, ভাইস চেয়ারম্যান ও যুব সংহতির আহ্বায়ক এইচ এম শাহরিয়ার আসিফ, যুগ্ম মহাসচিব ও জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সাধারণ সম্পাদক মো: বেলাল হোসেন, জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির সদস্য সচিব আলাউদ্দিন আহমেদ, জাতীয় প্রাক্তন সৈনিক পার্টির সদস্য সচিব মো: নিজাম উদ্দিন সরকার, জাতীয় তরুন পার্টির আহ্বায়ক মো: জাকির হোসেন মৃধা, জাতীয় শ্রমিক পার্টির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ শান্ত, জাতীয় আইনজীবী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, জাতীয় ছাত্রসমাজের সভাপতি মো: ইব্রাহিম খান জুয়েল, জাতীয় মৎস্যজীবী পার্টির সভাপতি আজাহার ইসলাম সরকার, জাতীয় তাঁতী পার্টির সদস্য সচিব মো: আক্তার হোসেন, জাতীয় হকার্স পার্টির সভাপতি মো: আনোয়ার হোসেন আনু, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পার্টির আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম মিন্টু, পল্লীবন্ধু পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব মো: মুজিবুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. নুরুল আজহার শামীম, সরদার শাহজাহান, যুগ্ম মহাসচিব একেএম আশরাফুজ্জামান খান, যুবসংহতির সদস্য সচিব আহাদ ইউ চৌধুরী শাহীন, ছাত্রসমাজের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন।