বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আগামী বুধবার দেশের সকল মহানগর ও জেলায় প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি। তবে আগামী ১৮ই ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বরিশাল মহানগরে পূর্বঘোষিত সমাবেশ থাকায় বরিশাল বিভাগে এ কর্মসূচির আওতার বাইরে থাকবে। রোববার বিকালে গুলশানস্থ বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী বছরের প্রথমেই দেশ, দেশের সরকার প্রধান এবং দেশের গৌরব ও মর্যাদার প্রতীক এক স্পর্শকাতর প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে আল-জাজিরায় প্রচারিত প্রতিবেদনে উত্থাপিত অভিযোগসমূহের জবাব না দিয়ে বিষয়টিকে রাজনৈতিক ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে এড়িয়ে যাওয়ার সরকারি অপচেষ্টার নিন্দা জানাই। দেশের ভাবমূর্তি সুরক্ষা ও কল্যাণ নিশ্চিত করার স্বার্থে অনতিবিলম্বে রিপোর্টে উত্থাপিত তথ্যাদি ও অভিযোগ সমূহের যুক্তগ্রাহ্য জবাব তথ্য প্রমাণসহ উপস্থাপন করা সরকারের দায়িত্ব বলে আমরা মনে করি। এই দায়িত্ব পালনে অক্ষমতা কিংবা ব্যর্থতা শুধু সরকারের অপরাধ প্রমাণ করবে না- দেশের স্বার্থ ও ভাবমূর্তির অপূরণীয় ক্ষতি হবে।
তিনি বলেন, আল জাজিরায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে জনগণের দৃষ্টি বিভ্রান্ত করার লক্ষ্যে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব কেড়ে নেয়ার জন্য সরকার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। জামুকা’র সভায় এখতিয়ার বহির্ভূত ও অযাচিতভাবে এমন প্রস্তাব গ্রহণের জন্য দায়ীদেরকে অবশ্যই একদিন জনতার কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। বিএনপি’র শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনে বাধাদান, মানববন্ধন কর্মসূচিতে দলের সিনিয়র নেতৃত্বসহ শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মীকে আহত করা, শত শত নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে কারাগারে প্রেরণ এবং অজ্ঞাত আসামি বলে সারা দেশে বিএনপি ও অঙ্গ দলসমূহের নেতাকর্মীদের হয়রানি করায় তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানান তিনি।।