ঢাকা: রাজধানীর বিজয়নগরে পুলিশের বেধড়ক পিটুনির শিকার হয়েছেন ইংরেজি দৈনিক দ্য নিউ এজের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রতিনিধি নাজমুল হুদা সুমন ও শিক্ষার্থী খায়রুজ্জামান শুভ।
রোববার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মোটর সাইকেলের পেছনে আরোহী বহনে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করার জের ধরে এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের পর রমনা থানা পুলিশের হাতে আটক হন এই দু’জন। পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখন ঢামেক জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে।
নাজমুল হুদা সুমন ও খায়রুজ্জামান শুভ জানান, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তারা মোটর সাইকেলযোগে বিজয় নগর এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন। এসময় সেখানে দায়িত্বরত রমনা থানার পুলিশ সদস্যরা তাদের গতিরোধ করেন। এরপর তাদের কাছে নিয়ম ভাঙ্গার অভিযোগ আনেন। এসময় সাংবাদিক পরিচয় দিলে পুলিশ সদস্যরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের পেটাতে থাকেন।
শুভ বলেন, প্রথমে রমনা থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) সুমন পেটাতে শুরু করলে তার সঙ্গে অন্যরাও যোগ দেন। এরপর আমাদের গাড়িতে চড়িয়ে রমনা থানায় নিয়ে যাওয়া। গাড়িতেও আমাদের ওপর নির্যাতন চলে। থানায় নিয়েও আরও বেশি পিটুনি দেয় পুলিশ।
তিনি জানান, থানায় প্রায় দেড় ঘণ্টা থাকার পর ঢাবির জিয়াউর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু সালমান প্রধান শাওন তাদের ছাড়িয়ে আনেন। এরপর তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে গেলে ঢামেকের জরুরি বিভাগে পাঠিয়ে দেন সেখানকার চিকিৎসকরা।
পরে ঢামেক জরুরি বিভাগে সরেজমিনে দেখা যায়, শুভর পিঠে লাঠির আঘাত আর নাজমুলের মাথায় ও সারা শরীরে বেদম পিটুনির আঘাত রয়েছে।
এ বিষয়ে রমনা থানার এসআই সুমনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে স্থানীয় লোকজন তাদের ওপর চড়াও হয়। তখন আমরা তাদের সেখান থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। পরে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বড়ভাই এসে নিয়ে যায়।