নোয়াখালী: নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার গাড়িবহরে হামলা চালিয়েছে একদল দুর্বৃত্ত। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে নোয়াখালীর বসুরহাট থেকে চট্রগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে যাওয়ার পথে এই হামলার করে। এ হামলার জন্য সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীকে দায়ী করেছেন আবদুল কাদের মির্জা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, বসুরহাট পৌরসভার নবনির্বাচিত পরিষদ আজ ভোরে চট্রগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে হামলাকারীরা ফেনীর জেলার দাগনভূঞা বাজারে কাদের মির্জার গাড়িবহরে ইট পাটকেল, ডিম নিক্ষেপ করে। এতে সেলিম নামে এক আওয়ামী লীগ নেতা আহত হয়েছেন।
এদিকে সকাল ৯টায় আবদুল কাদের মির্জা লাইভে এসে বলেন, যারা একরামকে (ফেনী উপজেলা চেয়ারম্যান) হত্যা করেছে ঠিক একই কায়দায় আমাকে হত্যার জন্য একরাম চৌধুরীর সন্ত্রাসীরা (সংসদ সদস্য) আমার গাড়ি গতিরোধ করে। আল্লাহর অশেষ রহমতে একটা ট্রাক থাকার কারণে আমার গাড়িটা দ্রুত আসার সুযোগ পেয়েছে। আমার গাড়ি বহরে ১২টা গাড়ি ছিল এগুলোতে হামলা করেছে, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। সেলিম নামে আমাদের এক নেতা আহত হয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, এমনিভাবে শুধু আমাকে নয় ফেনীতে আমাদের একরাম ভাইকে প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যা করেছে। ২০১৮ সালে দাগনভূঞা ফখরুল ইসলাম নামে একটি ছেলেকে সাইফুলের নেতৃত্বে দিদারের সন্ত্রাসীরা হত্যা করেছে। আজকে ফেনীতে হত্যার রাজনীতি চলছে। আমি আগেও বলেছি এটা বন্ধ করার জন্য, আজকে কেন বন্ধ হচ্ছে না? আজকে নিজাম হাজারীরা, একরাম চৌধুরীরা এত দাপট দেখায়। তারা আমাদের ওপর হামলা করছে। যারা দাগনভূঞাতে ফখরুলকে হত্যা করেছে তারা প্রকাশ্য দিবালোকে ঘুরাফেরা করছে।
তিনি ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে বলেন, আমরা যাকে মন্ত্রী (ওবায়দুল কাদের) বানিয়েছি তার কাজ কী? যে মন্ত্রী অপশক্তির কাছে মাথানত করেছে। আমি এখানে যে দুর্নীতি অনিয়ম চলছে এটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব, তাদেরকে ছেড়ে দিতে পারি না। আমি অন্যায়ের কাছে মাথানত করব না। আজ রাত ৮টায় লাইভে এসে পরের কর্মসূচি ঘোষণা করব।