ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, ‘আলজাজিরার এই প্রতিবেদন ধরে নিলাম পুরোপুরি সত্য নয়। আমি চ্যালেঞ্জ করে বললাম এই প্রতিবেদন পুরোপুরি মিথ্যা নয়। সরকার যদি প্রমাণ করতে পারে, এই প্রতিবেদন পুরোপুরি মিথ্যা তাহলে আমি স্বেচ্ছায় ফাঁসি বরণ করব।’
শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে ‘ছাত্র-শিক্ষক-জনতা’-এর ব্যানারে এক প্রতিবাদ সমাবেশে শুক্রবার তিনি এমন মন্তব্য করেন।
নুরুল হক নুর বলেন, ‘আলজাজিরার এই প্রতিবেদনকে যেখানে আন্তর্জাতিকভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে, সেখানে আমাদের সরকার এই প্রতিবেদককে উড়িয়ে দিচ্ছে, মানুষকে তারা বোকা ভাবছে। মনে করছে তারা যা বলবে তা বিশ্বাস করবে। ভয় পেলে চলবে না, অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের কথা বলতেই হবে।’
প্রতিবেদনটিকে কেন্দ্র করে দেয়া ঢাবি শিক্ষক সমিতির বিবৃতির কথা উল্লেখ করে নুর বলেন, আপনারা কি বিবেকের তাড়নায় এই বিবৃতি দিয়েছেন নাকি কেউ প্রভোস্ট হবেন! কেউ প্রক্টর হবেন! কেউ ভিসি হবেন! এই আশায় এই বিবৃতি দিয়েছেন। যেখানে সারা দেশের মানুষ এই প্রতিবেদন নিয়ে কথা বলছে। আপনারা সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের শিক্ষক হয়ে সরাসরি সরকারের পক্ষ নিয়েছেন এটি কখনোই কাম্য নয়।’
ডাকসুর সাবেক এই ভিপি আরো বলেন, ‘আজকে কিশোর-মোস্তাকের মুক্তির দাবিতে আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি, দুই দিন পর আমাকে বা আজকে যারা কথা বলছে তাদের অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলায় কারাগারে নিক্ষেপ ভোটারবিহীন এই সরকার। একদলীয় শাসনব্যবস্থাকে পাকাপোক্ত করার জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে এই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। যে সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলবে, তাকেই গ্রেফতার করা হবে। সময় হয়েছে আসুন, সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে এই আইন এবং সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড়াই।’
সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, শ্রমিক অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক আব্দুর রহমান, যুব অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক আতাউল্লাহ, যুব অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক তারেক রহমান, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক অমল ত্রিপুরা ও রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য রাখাল রাহা।