শ্রীপুরে নাগরিক সমাবেশ, গণস্বাক্ষর, মানববন্ধন ও র্যালী

Slider গ্রাম বাংলা

গাজীপুর: বন বিভাগের গেজেট সমস্যা সমাধান, মিথ্যা বন মামলা প্রত্যাহার সহ ৬ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন, প্রতিবাদ মিছিল ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন।

শুক্রবার( ৫ ফেব্রুযারী) বিকেলে ৩ টা থেকে গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর এলাকার গড়গড়িয়া মাষ্টারবাড়ি এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে এই কর্মসূচি পালিত হয়।

এ্যাডঃ তোফাজ্জল হোসেন শাহীনের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহবায়ক মোঃ আনোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভাওয়াল গড় বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব ড.এ কে এম রিপন আনসারি।

বিশেষ অতিথি ছিলেন এমদাদুল হক সহকারী অধ্যাপক ভাবানীপুর মুক্তিযোদ্বা কলেজ, ডাঃ বোরহান উদ্দিন অরণ্য, যুগ্ম সম্পাদক বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির, মোঃ শফিকুল ইসলাম ভূইয়া, সমন্বয়ক ভাওয়াল গড় বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটি, খোরশেদ আলম সাধারণ সম্পাদক নদী পরিব্রাজক দল শ্রীপুর শাখা, এ্যাডঃ আরিফ ভূঁইয়া, ছাইদুর রহমান হিমু,শাহ পরাণ ফরাজি, লুৎফর মন্ডল, সোহেল রানা, আলীমুদ্দিন, রুবেল সরকার, হৃদয় হাসান, গোলজার হোসেন, সিরাজুল ইসলাম, সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্ধ।
গেজেট সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে,৬ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে তদন্ত ছাড়া বন মামলা রুজু, আর এস পর্চাকে ভিত্তি করে বনের জায়গা চিহ্নিত করা, শালবন কেটে বিদেশি বৃক্ষ রোপণ, সামাজিক বনায়নে দরিদ্রদের কথা বলে প্রভাবশালীদের বরাদ্দ দেয়া, ভূমিহীনদের বন বিভাগ কর্তৃক হয়রানি করা এবং গেজেটভুক্ত সম্পত্তির গেজেট বাতিলের দাবিতে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আয়োজনে সমবেত লোকজন বিভিন্ন দাবি সংবলিত ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রথমে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বিক্ষোভ করে মাস্টারবাড়ী বাজার প্রদক্ষিণ করে।

পরে সড়কের পাশে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময়
বক্তারা বলেন, গাজীপুর জেলার সকল প্রকার গেজেটভুক্ত সম্পত্তির গেজেট বাতিল করতে হবে। সিএস, এস এ পর্চায় জমির মালিক হয়েও ভুলক্রমে আর এস পর্চায় বনের নামে উঠানো হয়েছে।

এতে বনের লোকজন জমির মালিকদের জমিতে সকল প্রকার কাজকর্মে বাধা প্রদান করছে। এমনকি কোনো প্রকার তদন্ত ছাড়াই বনের মিথ্যা মামলায় সাধারণ মানুষদের অভিযুক্ত করে হয়রানি করছে। এছাড়াও কৌশলে প্রাকৃতিকভাবে গড়ে উঠা শালবন কেটে বিদেশি বৃক্ষ রোপণ করা হচ্ছে। ওইসব বৃক্ষের বাগান যুগ যুগ ধরে কৌশলে রাজনৈতিক ও প্রভাবশালীদের নামে বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। দ্রুত এসব সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কার্যকর ভূমিকা দেখার অপেক্ষায় সাধারণ জনতা।

নাগরিক সমাবেশে ভাওয়াল গড় বাঁচাও আন্দোলন, বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলন, বাংলাদেশ মুক্তি যুদ্ধ মঞ্চ, ভূমিহীন সমবায় সমিতি, অগ্নী তরুণ সেচ্ছাসেবী সংগঠন সহ আরও একাধিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *