গাজীপুর: কথাকাটাকাটির জের ধরে কিশোরগ্যং এর ছুঁরিকাঘাতে এক টেম্পু চালক কাম স্যানেটারী মিস্ত্রির পেটে ছিঁড়ে গেছে। তাকে আশংকাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নেয়ার পর ডাক্তার মৃত ঘোষনা করে। এই ঘটনায় পুলিশ প্রধান আসামী কাউছারকে গ্রেফতার করেছে।
গতরাত ৯টার দিকে গাজীপুর শহরের মধ্যছায়াবিথির কালিমন্দিরের সন্নিকটে ওই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রতিদিন কিশোরগ্যাং এর সদস্যরা দল বেঁধে এই এলাকায় চলাফেরা করে। সেই ধারাবাহিকতায় গতরাত ৯টার দিকে কয়েকজন রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এক সময় কথা কাটাকাটির জের ধরে টেম্পু চালক সাদেক জনৈক কাউছারকে চরথাপ্পর মারেন। এর পর ভালো হবে না বলে কাউছার চলে যায়। কয়েক মিনিট পর কাউছার ছুঁড়ি নিয়ে এসে আকস্মিকভাবে সাদেকের পেটে ও গাঢে ছুঁরিকাঘাত করে চলে যায়। অতঃপর পথচারী ও সাদেকের পরিবারের লোকজন সাদেককে হাপসাতালে নিয়ে যায়।
পরবর্তি সময় পুলিশ প্রধান আসামী কাউছারকে গ্রেফতার করে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, গাজীপুর মহানগরের মেট্রো থানাধীন মধ্য ছায়াবিথী এলাকায় বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৯টার দিকে মাদক নিয়ে পূর্ব বিরোধের জেরে ওই যুবক খুন হয়েছেন।
নিহত সাদেক আলী (৩২), শেরপুরের ঝিনাইগাতি থানার বাঁকাকোরা গ্রামের মো. শাহ আলমের ছেলে। তিনি স্থানীয় আশিকের বাড়ির ভাড়াটে। মৃত সাদেক পেশায় একজন সেনেটারী মিস্ত্রি ছিলেন।
গাজীপুর সদর থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বাংলাদেশ জার্নালকে জানান, জুনিয়র/সিনিয়র দ্বন্ধে ওই খুনের ঘটনা ঘটেছে। গাজীপুর মহানগরের পশ্চিম ভুরুলিয়া এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে কাওসার (২৩) এবার স্থানীয় কাজী আজিম উদ্দিন কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অটোপাস করেছেন। বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৯টার দিকে মধ্য ছায়াবিথী এলাকার গোপাল জেনারেল স্টোর নামক মুদি দোকানের সামনে সালাম না দেয়ায় কাওসারের সাথে সাদেকের কথা কাটাকাটি এবং হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে কাওসার তার সঙ্গে থাকা ধারালো অস্ত্র উঁচিয়ে সাদেককে ধাওয়া করে। পরে স্থানীয় আশরাফ উদ্দিন ইঞ্জিনিয়ারের বাড়ির সামনে পৌঁছেলে কাওসার তার হাতের অস্ত্র দিয়ে সাদেকের গলার ডান দিকে আঘাত করলে তিনি গুরুতর জখম হয়ে মাটিতে পড়ে যায়।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কাওসারকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীণ বলে জানায় ওসি।
তবে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান- তাদের মধ্যে মাদক ব্যবসা নিয়ে পূর্ব বিরোধের জেরেই ওই খুনের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।