ঢাকা: মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে জাতিসংঘে নিন্দা প্রকাশ আটকে দিল চীন। সোমবারের ওই অভ্যুত্থান নিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক বসে মঙ্গলবার। সেখান থেকে নিন্দা জানিয়ে একটিম যৌথ বিবৃতি দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু সে উদ্যোগকে আটকে দিয়েছে চীন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে বলা হয়, উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবারের বৈঠক শেষে একটি যৌথ নিন্দা প্রস্তাবে আসতে ব্যর্থ হয় পরিষদ। এর কারণ, এমন প্রস্তাবে সমর্থন দেয়নি চীন। এমন যৌথ বিবৃতিতে চীনের সমর্থন প্রয়োজন।
কারণ, নিরাপত্তা পরিষদের একজন স্থায়ী সদস্য হওয়ার কারণে তার আছে ভেটো দেয়ার ক্ষমতা। নিরাপত্তা পরিষদে এই আলোচনা শুরুর আগে মিয়ানমার বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত ক্রিস্টিন শ্রানার সামরিক অভ্যুত্থানের কড়া নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি নভেম্বরের নির্বাচনের ফল নিয়ে মন্তব্য করেছেন। বলেছেন, নির্বাচনে অং সান সুচির দলের ভূমিধস বিজয় হয়েছে- এটা স্পষ্ট। সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ইলিয়ট প্রাসে-ফ্রিম্যান বলেছেন, (চীনের এই) পররাষ্ট্রনীতি গ্যাসলাইটিংয়ের সমতুল্য। দৃশ্যত জোরালো সমর্থন না হলেও মিয়ানমারের জেনারেলদের অভ্যুত্থানে চীনের নীরব সমর্থনের ইঙ্গিত দেয়। এই অভ্যুত্থান মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ ইস্যু এমনটা ভাবধারা দেখাচ্ছে চীন। তিনি মনে করেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ থেকে কোনো বিবৃতি দেয়া হলেও তাতে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো পরিবর্তন এনে দিতো না। তবে এটা হতো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রথম সমন্বিত পদক্ষেপ। যা এখন আর আসছে বলে মনে হয় না।