রাতুল মন্ডল নিজস্ব প্রতিবেদক: শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, আমরা চাই আমাদের শিক্ষার্থীরা উদ্যোক্তা হবেন, শুধু চাকুরি খুজবে না। আমরা তাদের নানা ধরনের প্রশিক্ষণ দিবো তাদের উদ্যোক্তা হতে শেখাবো। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাও চান আমাদের ছেলে মেয়েরা উদ্যোক্তা হবে, নতুন নতুন কাজ তৈরী করবে। নিজেরা অন্য আরও দশজনকে চাকুরী দিবে।
মঙ্গলবার সকালে গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া পূর্ব খন্ড এলাকায় দেলোয়ার হোসেন দম্পত্তির মৌমিতা ফ্লাওয়ার্স ফুল সবজির বাগান পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় শ্রীপুর পৌরসভার মেয়র আনিছুর রহমান, শ্রীপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল, গাজীপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাড. রিনা পারভীন, শ্রীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাড. শামসুল আলম প্রধান, শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসলিমা মোস্তারী, শ্রীপুর পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম মোল্লা, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ুন কবির হিমু, গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল আলম রবিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এসময় তিনি দেলোয়ার দম্পতির টিউলিপ, বিদেশী গোলাপ ফুল, ক্যাপসিকাম, স্ট্রবেরী বাগানসহ অন্যান্য কার্যক্রম পরিদর্শণ করেন।
পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী উপস্থিত সাংবাদিকদের আরও বলেন, দেলেয়ার দম্পতি বাগানে আধুনিক পদ্ধতিতে ফুল, ফল ও সবজির চাষ করছেন। তাদের উৎপাদিত ফসল গুলোতে বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। তারা ইতিমেধ্য এধরনের ফুল ফুল ও সবজি চাষে ৩০০জন উদ্যোক্তা তৈরী করে দিয়েছেন। অনেককে প্রশিক্ষণও দিয়েছেন। আমাদের দেশে এমনিতেই মাটি এত উর্বর যে তাতে ফুল চাষ করে তার বাজারজাত করার সম্ভাবনা রয়েছে। আর এফুল বিদেশী রপ্তানি করার সম্ভাবনা রয়েছে। এ দম্পতি যেভাবে উদ্যোক্তা তৈরী করে দিচ্ছেন আমি বিশ্বাস করি যে, সরকারী আরও সহযোগিতা পেলে নিশ্চয়ই ওনারা এটাকে বিশাল আকারে নিয়ে যেতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যার সরকার সবসময়ই উদ্যোক্তাদের পাশে আছে। কেউ নতুন কিছু করতে চাইলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাদের সহায়তা দেন, উৎসাহ দেন। দেশে এভাবে ফুল চাষ হলে আমরাও সবজির পাশাপাশি ফুলও রপ্তানি করতে পারবো ইনশাল্লাহ্।
প্রায় ৭একর জমিতে কালার ক্যাপসিকাম, গ্রীণ ক্যাপসিকাম, টিউলিপ ফুল, ওরিয়েন্টাল লিলি, ডাচ গোলাপ, দেশী গোলাপ, স্ট্রবেরী, জি-৯ কলাসহ বিভিন্ন ফুল ফলের চাষ ও চারা তৈরী করেন দেলোয়ার হোসেন। তিনি জানান, ২০০২সাল থেকে নিজের কিছু জমিতে এসব চাষাবাদ শুরু করেন। পরে তা নিজের পাঁচ বিঘা ও লিজে নেয়া ১৫বিঘা জমিতে তা সম্প্রসারণ করেন। সারাদেশে তিনি এসব চাষে তিনশজন উদ্যোক্তা তৈরী করেছেন। এসব চাষাবাদে কিছু সমস্যার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এ প্রকল্পে ব্যাংকগুলো পর্যাপ্ত ব্যাংক লোন দেয় না। যে লোন পাওয়া যায় তাও চড়া সুদে। সরকার তাকে সহযোগিতা করলে ফুল সবজি চাষ করে ভারত ও চীনের মতো হতে দুই থেকে তিন বছর সময় লাগবে বলে তিনি জানান।