করোনার শতভাগ কার্যকরি ওষুধ আবিষ্কারের দাবি মার্কিন কোম্পানির

Slider সারাদেশ


করোনাভাইরাসের শতভাগ কার্যকরি ওষুধ আবিষ্কারের দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানি রেজেনারন ফার্মাসিউটিক্যালস। বর্তমানে বৃটেনে এই ওষুধটির ট্রায়াল চালাচ্ছে এনএইচএস। কোম্পানিটি দাবি করেছে, তাদের তৈরি রেজেন-কোভ (REGEN-COV) করোনা আক্রান্ত ব্যাক্তিদের পুরোপুরি সুস্থ করতে সক্ষম। দুটি এন্টিবডির সমন্বয়ে এই ওষুধ তৈরি করা হয়েছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এই ওষুধ ব্যবহারে সার্বিক সংক্রমণের হারও ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনা সম্ভব।

বর্তমানে এর চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। তবে এটি শেষ হবে এ বছরের শেষ নাগাদ। এরইমধ্যে ট্রায়াল থেকে যে তথ্য পাওয়া গেছে তার ওপর ভিত্তি করেই এর কার্যকরিতার দাবি করেছে রেজেনারন ফার্মাসিউটিক্যালস।
চূড়ান্ত ফলাফল না পাওয়া গেলেও কোম্পানিটি এই ওষুধ করোনার সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙ্গতে পারবে বলে দাবি করেছে। রেজেনারনের প্রেসিডেন্ট জর্জ ইয়ানকোপুলোস বলেন, বিশ্বজুড়ে ভ্যাকসিন কার্যক্রম চালু হলেও এখনো প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন। তারা তাদের কাছের মানুষকে সক্রিয়ভাবে সংক্রমিত করে চলেছে। রেজেন-কোভ ওষুধ এই শৃঙ্খল ভাঙ্গতে সক্ষম। যারা সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে তাদের মধ্যে তাৎক্ষণিকভাবে প্যাসিভ ইমিউনিটি সৃষ্টি করতে সক্ষম এই ওষুধ। অপরদিকে ভ্যাকসিন গ্রহণ করলে তা কার্যকর হতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগে।

৪০০ জন সেচ্ছাসেবীর ওপরে চালানো পরীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণ করেছে রেজেনারন। তাদের সকলের পরিবারের কোনো না কোনো সদস্য করোনায় আক্রান্ত। দুটি এন্টিবডির ককটেল বা সমন্বিত রূপ এই ওষুধ। এটি সার্স-কোভ-২ ভাইরাস থেকে দেহকে সুরক্ষা দেয়। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকেও এই ওষুধ প্রদান করা হয়েছিল। তিনি দাবি করেছিলেন, এই ওষুধই তাকে সুস্থ করেছে।

এই ওষুধ মূলত যাদের তাৎক্ষনিকভাবে করোনা থেকে সুরক্ষা প্রয়োজন তাদের ওপর প্রয়োগ করতে হবে। যারা করোনা আক্রান্ত কারো সংস্পর্শে এসেছেন বা এরকম কারো সঙ্গেই তার থাকতে হচ্ছে কিংবা নিজেও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন এমন মানুষদের এই ওষুধ গ্রহণ করতে হবে। বর্তমানে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এর পরীক্ষা চলছে বৃটেনে। সেখানে দেশের ১৭৪টি হাসপাতালে ২ হাজারের বেশি রোগীর ওপর পর্যবেক্ষন চালানো হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *