‘যদি ফেব্রুয়ারিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হয়, তাহলে প্রাথমিকভাবে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর নিয়মিত ক্লাস হবে। অন্য শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে এক দিন করে ক্লাসে আসবে। তারা পুরো সপ্তাহের পড়া নিয়ে যাবে। পরের সপ্তাহে আবার এক দিন আসবে’ পরীক্ষা ছাড়াই এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশের বিধান করতে রোববার বিদ্যমান আইন সংশোধনের প্রস্তাব সংসদে পাসের প্রক্রিয়ার সময় শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক, শ্রেণীকক্ষে তাদের গাদাগাদি করে বসতে হয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বসানো সম্ভব হয় না। তাই সব শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের এক সাথে না এনে আলাদা আলাদা দিন ক্লাসে আনার ব্যবস্থা হবে।’
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খোলার প্রস্তুতি নিতে ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
গত ২৩ জানুয়ারি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) স্কুল-কলেজের অধ্যক্ষদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে ওই নির্দেশনা দেয়া হয়।
তিনি সংসদে আরো বলেন, ‘আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের প্রস্তুতি নিতে বলেছি। এরপর জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির পরামর্শ নিয়ে ঘোষণা করব কবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলব।’
কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যে গত বছর পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণীর সমাপনী পরীক্ষা এবং প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের বার্ষিক পরীক্ষা নেয়নি সরকার।
তবে শিক্ষার্থীদের কোথায় দুর্বলতা তা বোঝার জন্য ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে সাপ্তাহিক অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে মূল্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়।
আর গত বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেয়া সম্ভব না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের ফল ঘোষণা করা হবে অষ্টমের সমাপনী এবং এসএসসি ও সমমানের ফলফলের ভিত্তিতে। সেজন্য রোববার সংসদে আইন সংশোধন করে বিল পাস করা হয়।