যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা ছাড়ার পর এখন বসবাস করছেন ফ্লোরিডায়। ওয়াশিংটন ডিসির ক্ষমতার মসনদ ছেড়ে তিনি এখন কেমন আছেন সেটা জানার আগ্রহ ভক্তদের। যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবারই নিজেকে এক নতুন বাস্তবতায় আবিষ্কার করলেন ট্রাম্প। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে প্রেসিডেন্ট থেকে ফ্লোরিডার একজন সাধারণ নাগরিক হয়ে গেলেন তিনি। সেইসাথে নাম লেখালেন ফ্লোরিডার সিনিয়র সিটিজেন তথা প্রবীণ নাগরিকদের তালিকায়।
রাজ্যের প্রায় ৪৫ লাখ সিনিয়র সিটিজেনের মতোই ৭৮ বছর বয়সি ট্রাম্পের হাতেও এখন ‘অফুরন্ত অবসর’।
বুধবার হোয়াইট হাউজ ছাড়ার কয়েক ঘণ্টা পরই নিজের অতিপ্রিয় মার-এ-লাগোর পামবিচে পৌঁছে যান ট্রাম্প। এ সময় তার গাড়িবহরকে স্বাগত ও অভ্যর্থনা জানাতে এসেছিলেন হাতেগোনা কয়েকজন সমর্থক। যাদের অধিকাংশ ছিলেন বয়সে প্রবীণ।
ট্রাম্পের মতো একজনকে পেয়ে তারা বেশ খুশিই। তবে ট্রাম্পকে প্রতিবেশী হিসাবে গ্রহণ করতে রাজি নয় মার-এ-লাগোর অধিকাংশ বাসিন্দাই। তার নিকটতম প্রতিবেশী বলেছেন, আমাদের প্রতিবেশী হিসাবে আপনাকে চাই না। এখানে নয়, অন্য কোথাও অবসর যাপন করুন।
প্রতারণা, উদ্ভট আচরণ ও কথায় কথায় মিথ্যা বলাকেই এর কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। গত চার বছরে মোট ৩০ হাজার ৫৩৭টি মিথ্যা বলেছেন তিনি।
ফ্লোরিডা রাজ্যের পামবিচ শহরে মার-এ-লাগোর অবস্থান। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মালিকানাধীন এই প্রাইভেট ক্লাব। বহু পরিবারের বসবাস এখানে। প্রায় ৫০০ সদস্য এই ক্লাবের। অনেকগুলো বিল্ডিং ব্লকে বিন্যস্ত মার-এ-লাগো। অনেকটা প্রাইভেট অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সের মতো।
সমুদ্র লাগোয়া নয়নাভিরাম এবং সুশোভিত স্থান। মঙ্গলবার পাম বিচ শহর কর্তৃপক্ষের কাছে এক লিখিত আর্জিতে এই প্রাইভেট এস্টেটের অধিবাসীরা দাবি জানিয়ে বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ১৯৯০ সালে স্বাক্ষরিত এক চুক্তির ফলে মার-এ-লাগোয় তার বসবাসের অধিকার হারিয়েছেন। এই দাবির কপি দেয়া হয়েছে ইউএস সিক্রেট সার্ভিসকেও।