নোয়াখালী: সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, ‘দেশে অপরাজনীতি চলছে। সংশোধন না হলে আওয়ামী লীগকে আগামী নির্বাচনে এর খেসারত দিতে হবে। কোথাও সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে না। কোনো নির্বাচন এভাবে চলতে দেয়া যায় না।’
বুধবার সকালে পৌর এলাকার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে কর্মী সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের মির্জা নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী।
তিনি বলেন, ‘১৯৯১, ৯৬ ও ২০০৮ সালে দেশে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। এরপর আর সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। বৃহত্তর নোয়াখালীতে যদি সঠিকভাবে ভোট হয় তবে দুই থেকে চারটি আসন ছাড়া বাকি আসনগুলোতে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা পালানোর জন্য দরজা খুঁজে পাবে না।’
আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ‘আমি যখন ভোট চুরির কথা বলি, আমি যখন গ্যাসের দাবি করি, দেশে ছেলে মেয়েদের চাকরির কথা বলি, নোয়াখালীর অপরাজনীতির বিরুদ্ধে কথা বলি, টাকা নিয়ে পুলিশে চাকরির কথা বলি তখন আমাকে পাগল বলে সাব্যস্ত করা হয়। আমি জানি শেখ হাসিনা আমাকে সমর্থন করবেন। নেত্রীর পক্ষ থেকে আমার ওপর কোনো চাপ নেই। তবে কিছু কিছু নেতা আমাকে নিয়ে এলোমেলো কথা বলছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমি নির্বাচনের পর শেখ হাসনিার সাথে দেখা করব। করোনার কারণে দেখা করতে না পারলে ঢাকা প্রেসক্লাবে যাব। আমি কিছু নেতার পরিবর্তন চাই। একরামুল করিম চৌধুরী চাকরি দিয়ে টাকা নেবে টেন্ডারবাজি করে টাকা নেবে। তা হতে পারে না। নিজাম হাজারী চোরাচালানী থেকে আরম্ভ সব কিছুর সাথে জড়িত। অথচ ফেনীর উপজেলা চেয়ারম্যান হত্যার বিচার হয় না। এটা দুঃখজনক।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের কাজ হচ্ছে লাঠি তৈরি করা। ভোট চুরির জন্য, ভোটে অনিয়মের জন্য আসলে ওই লাঠি দিয়ে পা ভেঙ্গে দিতে হবে। আপনারা ভোট দিয়ে বাড়ি থেকে ভোটার নিয়ে আসবেন। কারণ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।’
কাদের মির্জা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু এদেশের মানুষকে স্বাধীনতা দিয়েছে ভোটের ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। আমরা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আন্দোলন করেছি এ দেশের মানুষের ভোটের ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। সরকার এ দেশে ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করেছেন কিন্তু ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়নি। এটা করতে হবে।’