ঢাকা: রাজধানীর কলাবাগানের মাস্টারমাইন্ড স্কুলে ‘ও লেভেল’-এ পড়ুয়া এক কিশোরীকে বন্ধুর বাসায় ডেকে নিয়ে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার ফারদিন ইফতেখার দিহানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চাইবে পুলিশ। শুক্রবার আদালতে তোলার পর আসামী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্ধি দেয়।
রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান বলেন, কলাবাগানের এই মর্মান্তিক ঘটনায় দিহানের নামে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। রিমান্ড চেয়ে আজ তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। রিমান্ড নেয়ার পর প্রকৃত তথ্য পাওয়া যাবে।
চাঞ্চল্যকর এই মামলায় গতকাল রাতে দিনাহকে একমাত্র আসামি করে কলাবাগান থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় আটক অন্য তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কলাবাগানের ডলফিন গলিতে দিহানের বাসায় এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরে অসুস্থ হয়ে পড়লে দিহানসহ চার বন্ধু ওই তরুণীকে ধানমন্ডির মডার্ন আনোয়ার খান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে বিকালে হাসপাতালে মেয়েটি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
চিকিৎসকরা বলছেন, ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর আনুশকাহ শরীর থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। তার পেটের ডান পাশে আঘাতের চিহ্ন ছিল। পরে কলাবাগান থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠায়। খবর পেয়ে কলাবাগান থানা পুলিশ আনোয়ার খান হাসপাতালে গিয়ে তানভীরকে আটক করে। পরে তরুণটির তিন বন্ধু হাসপাতালে গেলে পুলিশ তাদেরও আটক করে। নিহত ছাত্রী ও অভিযুক্ত ব্যক্তিরা শহরের নামী স্কুলের শিক্ষার্থী।
জিজ্ঞাসাবাদে তানভীর ইফতেফার দিহান পুলিশকে জানান, মেয়েটি তার পূর্বপরিচিত। বাসার সবাই ঢাকার বাইরে থাকার সুযোগে তাকে ডলফিন গলির তাদের দ্বিতীয় তলার ফ্ল্যাটে নিয়ে যান তিনি। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়। এরপরই মেয়েটি অচেতন হয়ে পড়লে তিনি তাকে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। ধর্ষণে অভিযুক্ত তরুণের বাবা সাবেক জেলা রেজিস্ট্রার। ভবনটি এক ইউনিটের। তরুণের বাবা দোতলার ফ্ল্যাটটির মালিক।