কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালীর): সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র ও সেতুমন্ত্রীর ভাই আবদুল কাদের মির্জা। গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, কিছু কিছু গণমাধ্যম বিভ্রান্তি সৃষ্টির উদ্দেশ্যে আমার বক্তব্যের খণ্ডিত অংশ বিশেষ প্রকাশ করেছে। সেদিন আমি শুধুমাত্র বৃহত্তম নোয়াখালীর আঞ্চলিক রাজনীতি নিয়ে নানা অনিয়মের কথা বলেছিলাম। জাতীয় ইস্যুতে আমি কোন বক্তব্য রাখিনি। গত ৩রা জানুয়ারি বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচন উপলক্ষে আয়োজিত এক জনসভায় কাদের মির্জা বলেছিলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বৃহত্তর নোয়াখালীতে তিন-চারটা আসন ছাড়া বাকি আসনে আমাদের এমপিরা দরজা খুঁজে পাবে না পালানোর জন্য। এটাই হলো সত্য কথা। সত্য কথা বলতে হবে। আমি সাহস করে সত্য কথা বলছি।’ এরপর ওই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে।
মঙ্গলবার গণমাধ্যমে প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে ওই বক্তব্যের ব্যাখ্যা দেন তিনি। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ করার মানষে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি নিজ নির্বাচনী এলাকা ছাড়াও বৃহত্তর নোয়াখালীর উন্নয়ন ও জাতীয় সারাদেশে উন্নয়নে ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। জিয়াউর রহমান হাঁ-না ভোটের মাধ্যমে এদেশের মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচন উপলক্ষে বিভিন্ন সভায় দেয়া আমার বক্তব্য নিয়ে একটি কুচক্রী মহল নানা ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। নির্বাচন নিয়ে নানা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে মানুষের মাঝে। আমি শুধুমাত্র একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপনের উদ্দেশ্যে ১৬ই জানুয়ারী অনুষ্ঠিতব্য বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচন অবাধ, গ্রহণযোগ্য ও প্রভাবমুক্ত নিরপেক্ষ নির্বাচন যেন হয়, এ জন্য নানা নির্বাচনী কর্মসূচিতে আমি কথাগুলো বলছি। এছাড়াও বিগত একযুগ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে সে বিষয়গুলোও আমার বক্তব্যে আমি উল্লেখ করেছিলাম। বৃহত্তর নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগের কিছু কিছু চামচা নেতা আছেন যারা বলেন, উমুক নেতা তমুক নেতার নেতৃত্বে বিএনপির দুর্গ ভেঙেছে, সত্যি কথা হলোÑ সাধারণ মানুষ বলে শেখ হাসিনা (ওস্বর) একলা কি করবেন। এতে প্রতীয়মান হয় , শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তার কারণে বৃহত্তর নোয়াখালীতে বিএনপির দুর্গ ভেঙে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। কিন্তু কোন কোন গণমাধ্যমে সেগুলো বিস্তারিত উল্লেখ না করে বিভ্রান্তি সৃষ্টির উদ্দেশ্যে আমার বক্তব্যের খণ্ড অংশ বিশেষ প্রকাশ করেছে। আমি শুধুমাত্র বৃহত্তম নোয়াখালীর আঞ্চলিক রাজনীতি নিয়ে নানা অনিয়মের কথা বলেছিলাম। জাতীয় ইস্যুতে আমি কোন বক্তব্য রাখিনি। অপরদিকে মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় বসুরহাট পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডে মওদুদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে নির্বাচনী পথসভায় বলেন, আমি কোম্পানীগঞ্জে পরীক্ষা নকল মুক্ত করে নজির সৃষ্টি করেছি, জাতীয় নেতাদেরকে আমি বুঝিয়ে দিতে চাই আগামী ১৬ই জানুয়ারি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করে আরও একটা নজির সৃষ্টি করতে চাই। সে নির্বাচনে আমি হেরে গেলে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে মিষ্টি খাওয়াইয়া হাসি মুখে বাড়ি ফিরে যাবো এবং দলীয় কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখবো। কেউ আমাকে মেরে ফেললে আমার কবরে মাটি দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন।