প্রধানমন্ত্রীর যে কোনো উপায়ে নাশকতা দমনের নির্দেশের সমালোচনা করেছেন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বাংলাদেশ গবেষক আব্বাস ফয়েজ। তিনি বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেন, এ ধরনের বক্তব্যে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ ও বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড উৎসাহিত হওয়ার ঝুঁকি থাকে, যে অভিযোগ বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে আগে থেকেই রয়েছে। সম্প্রতি পুলিশের সঙ্গে তথাকথিত বন্দুকযুদ্ধের ঘটনারও সমালোচনা করা হয়।
গত বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পুলিশ সপ্তাহ ২০১৫ উপলক্ষে জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, সরকারপ্রধান হিসেবে আমি আপনাদের অনুমতি দিচ্ছি, পেট্রোলবোমা ছুঁড়ে মানুষ হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে যখন যেখানে যে ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন তা আপনারা নেবেন। দায়-দায়িত্ব আমি নেব।
গত বছরের ৫ জানুয়ারির ‘একতরফা’ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের দাবিতে ৬ জানুয়ারি থেকে টানা অবরোধ কর্মসূচির ডাক দেয় বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। তবে সহিংসতার শুরু এর দুই দিন আগে থেকেই। গত ২৬ দিনে সহিংসতায় নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ৪১ জন।
আব্বাস ফাইয়াজ বলেন, পুলিশের অভিযানে এসব মৃত্যু- যার মধ্যে বেশ কিছু বিচারবহির্ভূত সেগুলোকে অবশ্যই তদন্ত করতে হবে এবং যারা এর জন্য দায়ী তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। নিরাপত্তা বাহিনীর দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা কিন্তু এটি তাদের অবস্থানকে আইনের ঊর্ধ্বে নিয়ে যায়নি এবং এটা কখনোই বারবার অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগের কোনো অজুহাত হতে পারে না।