অস্ত্র ও মাদকের দুই মামলায় ‘দায়মুক্তি’ পেয়েছেন ঢাকা-৭ আসনের এমপি হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম। র্যাবের করা এ মামলায় ‘তথ্য-প্রমাণ না পাওয়ায়’ গতকাল রোববার এ ব্যাপারে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে লালবাগ থানা পুলিশ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ফাইনাল রিপোর্ট অ্যাজ মিসটেক অব ফ্যাক্ট (এফআরএমএফ)’। মামলা দায়েরের দুই মাসের মাথায় এ প্রতিবেদন দেয়া হলো।
এ দুই মামলার অভিযোগ থেকে দায়মুক্তির কারণে তার বিরুদ্ধে আর একটি মামলা তদন্তাধীন। মামলাটি করেছিলেন নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমেদ খান। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) মামলাটি তদন্ত করছে।
গত ২৫শে অক্টোবর রাতে ধানমন্ডি এলাকায় ‘সংসদ সদস্য’ লেখা সরকারি গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর ওই কর্মকর্তাকে মারধর করেন হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম। ওই ঘটনার ভিডিও সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে দেশজুড়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
পরদিন এ ঘটনায় ইরফানসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে ধানমন্ডি থানায় মামলা করা হয়। মামলায় বাদী ওয়াসিফ আহমেদ আরও দু’জনকে অজ্ঞাত আসামী করেন।
২৬শে অক্টোবর পুরান ঢাকায় হাজী সেলিমের বাসায় দিনভর অভিযান চালায় র্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত। এ সময় অবৈধ অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য রাখার অভিযোগে ইরফানকে দেড় বছর ও তার দেহরক্ষীকে এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। এ মামলায় এজাহারভুক্ত চার আসামির সবাইকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
ইরফান ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর। ঘটনার পর তাকে কাউন্সিলর পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়।