নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, পরীক্ষার আগে অবরোধ প্রত্যাহার করা না হলে বেগম জিয়ার গুলশান অফিসের পানি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে তাকে অবরুদ্ধ করা হবে।
২০ দলীয় জোটের হরতাল-অবরোধে শ্রমিক-কর্মচারীদের হত্যা, যানবাহনে আগুন ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে চারদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন শ্রমিক-কর্মচারি-পেশাজীবী-মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক ও নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান। এসময় তিনি এসব কথা বলেন।
শুক্রবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শ্রমিক-কর্মচারী-পেশাজীবী-মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদের মহাসমাবেশে এ ঘোষণা দেন তিনি ।
চারদিনের কর্মসূচির মধ্যে ৩১ জানুয়ারি প্রেসক্লাবের সামনে প্রতীকী বিক্ষোভ সমাবেশ, ৩ ফেব্রুয়ারি সব জেলা শহরে শ্রমিক-কর্মচারীসহ সকল পেশার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ।
৫ ফেব্রুয়ারি বেলা ১২টা ৪৫ মিনিট থেকে ১টা পর্যন্ত সব অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ। একই সময়ে গাড়ি, লঞ্চ-স্টিমার ও যানবাহনে টানা ১৫ মিনিট হর্ন বাজিয়ে প্রতিবাদ জানানো হবে। সব দোকানদারকে নিজ নিজ দোকানের সামনে পাঁচ মিনিট দাঁড়িয়ে বাঁশি বাজিয়ে প্রতিবাদ জানানোর আহ্বান করা হয়েছে। কৃষকদেও নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে ১৫ মিনিট দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানাতে বলা হয়েছে।
কর্মসূচির চতুর্থ দিন ৭ ফেব্রুয়ারি সকালে ঢাকায় শ্রমিক-কর্মচারী-পেশাজীবী-মুক্তিযোদ্ধা সহ সব শ্রেণি পেশার নারী, ছাত্র ও যুব সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে জাতীয় কনভেনশন করবে শ্রমিক-কর্মচারী-পেশাজীবী-মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদ। ওই কনভেনশন থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
শ্রমিক-কর্মচারী-পেশাজীবী-মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদের মহাসমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হেলাল মোর্শেদ খান, ভাইস চেয়ারম্যান ইসমত কাদির গামা, চলচ্চিত্রকার কাজি হায়াৎ, নারী নেত্রী শিরিন আখতার এমপি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথ এমপি, উপ প্রচার সম্পাদক অসীম কুমার উকীল প্রমুখ।