হাসানুজ্জামান হাসান,লালমনিরহাটঃ লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় বাড়ির ১০ গজের ভিতরে অবৈধ ভাবে শ্বশান ঘাটি নির্মান করার অভিযোগ উঠেছে। এতে দুর্ভোগে পাচঁ বাড়ির লোকজন।
সরেজমিনে গিয়েদেখা গেছে, নতুন শ্বশান ঘাটির পশ্চিম দিকে ১০ গজ দুরে কয়েকটি বাড়ি। বাড়িতে শিশু সন্তান নিয়ে অনেকে সববাস করছেন। মরদেহ দাহ করলে ধোয়া দিয়ে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে পুরো বাড়ি। ভুক্তভোগিরা জানান,এই শ্বশান ঘাটি অন্য জায়গায় সরিয়ে নেয়ার দাবী তুলেন তারা।
অভিযোগে প্রকাশ, উপজেলার সিন্দুর্না ইউনিয়নের উত্তর হলদীবাড়ী ৫ নং ওয়ার্ডে বাড়ির পার্শ্বে ১০ গজ দুরে একটি নতুন শ্বশান ঘাটি নির্মান হয়। শ্বশান ঘাটি নির্মানের পর থেকে ৪টি মরদেহ দাহ করার পর ওই গ্রামে পাচঁ বাড়ি লোকজন মৃত দেহের দুর্গন্ধে শিশু সন্তানদের নিয়ে বাড়িতে থাকতে না পেরে অন্য এলাকায় আশ্রায় নিয়ে হয়। রাতে ভয়ে শিশুরা বাড়ি থেকে বেড়াতে পারে না। এতে ওই গ্রামে লোকজন ভোগান্তিতে পড়েছে।
এ ঘটনায় শ্বশান ঘাটি অন্য স্থানে সরিয়ে নিতে উপজেলা উত্তর হলদীবাড়ী গ্রামে মনোঞ্জন শীল লালমনিরহাট-১ আসনে সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেন, লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক, হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, হাতীবান্ধা থানা ইনচার্জ ও সিন্দুর্না ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
ওই এলাকার সুমন চন্দ্র জানান,নতুন এই শ্বশান ঘাটির জন্য আমার পরিবার অনেক কষ্টে আছেন। একটু দুরে আরও একটি শ্বশান ঘাটি রয়েছে সেখা তারা না গিয়ে আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বাড়ি পাশে মরদেহ দাহ করেন। আমি প্রশাসনকে অনুরোধ করব সরেজমিনে এসে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা নিবেন।
শ্বশান ঘাটি জমি দাতা গোপাল চন্দ্র জানান,আমাদের এই শ্বশান ঘাটি অনেক পুরনো তাই এখানে মরহেদ দাহ করি।সিন্দুর্না ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরল আমিনকে তার মোবাইল ফোনে কথা বলার জন্য চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুন বলেন,অভিযোগটি পেয়েছি দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।