মহামারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে এক দিনে আরো ২8 জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭ হাজার ৪৫২ জনে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়া, নতুন করে ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৪৯ জনের শরীরে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫ লাখ ৯ হাজার ১৪৮ জনে।
রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২৪ জনের মধ্যে ১৬ জন পুরুষ এবং নারী ৮ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬৭টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ করা হয় ১৩ হাজার ৫টি। অ্যান্টিজেন পরীক্ষাসহ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ হাজার ৬৫০টি। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৮.২৯ শতাংশ এবং এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৬.০৫ শতাংশ। মোট মৃত্যুর হার ১.৪৬ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরো ১ হাজার ৪৭৩ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৫১ হাজার ৯৬১ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৮ দশমকি ৭৭ শতাংশ।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আর দেশে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা তিন লাখ অতিক্রম করে গত ২৬ আগস্ট এবং মৃতের সংখ্যা ৬ হাজার ছাড়িয়ে যায় ৪ নভেম্বর।
বিশ্ব পরিস্থিতি
রোববার সকালে জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ৩ লাখ ১৭ হাজার ৮২০ জনে।
এছাড়া, ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৭ লাখ ৫৬ হাজার ৯২১ জনে।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। চলতি বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ পর্যন্ত দেশটিতে ১ কোটি ৮৯ লাখ ৭৮ হাজার ৫৯ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৩ লাখ ৩১ হাজার ৯০২ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত রয়েছে করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় এবং মৃত্যু নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে। ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকলেও সর্বাধিক মৃতের সংখ্যায় রয়েছে দ্বিতীয়তে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতে মোট আক্রান্ত ১ কোটি ১ লাখ ৬৯ হাজারের বেশি এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৪৭ হাজার ৩৪৩ জন। ব্রাজিলে মোট শনাক্ত রোগী প্রায় ৭৪ লাখ ৬৬ হাজার এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৯০ হাজার ৭৯৫ জনের।
রোগী শনাক্তের দিক দিয়ে তালিকার পরবর্তী কয়েকটি দেশ হলো- রাশিয়া (২৯ লাখ ৯২ হাজারের বেশি), ফ্রান্স (২৬ লাখ ৭ হাজারের বেশি), যুক্তরাজ্য (২২ লাখ ৬২ হাজারের বেশি) ও তুরস্ক (২১ লাখ ৩৩ হাজারের বেশি)।
মৃতের দিক দিয়ে বিশ্বে চতুর্থ স্থানে আছে মেক্সিকো (১ লাখ ২২ হাজার ২৬ জন)। তারপরে ইতালিতে ৭১ হাজার ৬২০ জন, যুক্তরাজ্যে ৭০ হাজার ৫১৩ জন, ফ্রান্সে ৬২ হাজার ৬৯৪ জন ও ইরানে ৫৪ হাজার ৫৭৪ জন মারা গেছেন।
সূত্র : ইউএনবি