যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসা ১৬৫ যাত্রীকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। বৃহস্পতিবার সকালে লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দর থেকে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২০২ জন যাত্রী নিয়ে অবতরণ করে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট। ওই ফ্লাইট থেকে সিলেটে ১৬৫ জন যাত্রী নামেন। তাদের প্রত্যেককে হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করার নির্দেশনা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, সকাল সোয়া নয়টার দিকে লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দর থেকে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২০২ জন যাত্রী নিয়ে অবতরণ করে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট। এর মধ্যে ১৬৫ জন যাত্রী সিলেটে নামেন। বাকি ৩৭ জন যাত্রী নিয়ে বিমানটি সকাল সোয়া ১০টার দিকে ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে ওসমানী বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক হাফিজ আহমদ বলেন, লন্ডন থেকে সিলেটে নামা বিমানের ১৬৫ জন যাত্রীর করোনা নেগেটিভ সনদ ছিল। বিমানবন্দরে অবতরণের পর তাদের করোনা নেগেটিভ সনদগুলো যাচাই-বাছাই করা হয়। এ সময় ছয়জনের সনদ নিয়ে কিছুটা সন্দেহ হলে সেগুলো আরও বিস্তারিত যাচাই-বাছাই করা হয়। পরে সেগুলো সঠিক বলে প্রমাণ পাওয়া যায়।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, প্রতি সপ্তাহে বাংলাদেশ বিমানের দুটি ফ্লাইট যুক্তরাজ্য থেকে সিলেট অবতরণ করে। এ ছাড় প্রতি বুধবার একটি ফ্লাইট সিলেট থেকে যুক্তরাজ্যে যায়। চলতি মাসে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত যুক্তরাজ্য থেকে সিলেটে এসেছেন ১ হাজার ২০ জন।
সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের বৈশিষ্ট্যের করোনাভাইরাস পাওয়ার কথা জানান দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এরপর থেকে সারাবিশ্বে করোনাভাইরাসের নতুন বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) অবশ্য নতুন ভাইরাস নিয়ে শঙ্কিত না হয়ে বিশ্ববাসীকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। নতুন বৈশিষ্ট্যের এ করোনাভাইরাস ৭০ ভাগ দ্রুতগতিতে বিস্তার ঘটাচ্ছে বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ভাইরাসটির ক্ষেত্রে ভ্যাকসিন কাজ করবে কিনা তা নিয়েও আলোচনা চলছে।